সিলেটে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি: শহরে পানি উঠতে শুরু করেছে, আক্রান্ত সোয়া ৫ লাখ মানুষ
![](https://dainiksylhet.com/images/icon.jpg)
দৈনিকসিলেটডটকম
![](https://dainiksylhet.com/files/uploads/2024/05/s22.jpg)
ছবি: মাসুদ আহমদ রনি
সিলেটে গত কয়েকদিন থেমে থেমে ভারি বর্ষণ হচ্ছে। বিশেষ করে উজানে ভারতের চেরাপুঞ্জিতে বৃষ্টিপাতের কারণে নদ নদীর পানি বেড়েছে। সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে।
শুক্রবার (৩১ মে) সকাল থেকে সিলেট নগরীতে পানি উঠতে শুরু করেছে। ইতোমধ্যে মাছিমপুর, তালতলা, যতরপুর, জামতলাসহ নগরীর নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। পাহাড়ি ঢলে পানি উঠেছে ফায়ার সার্ভিসের তালতলা প্রধান স্টেশনে। সংশ্লিষ্টরা জানান, বৃহস্পতিবার ভোর থেকে পানি উঠতে শুরু করে ফায়ার সার্ভিসের সিলেটের প্রধান স্টেশনে। ইতোমধ্যে বন্যার পানি ফায়ার সার্ভিসের ব্যারাকেও উঠে গেছে।
অন্যদিকে সিলেটের পাঁচ উপজেলায় পানিবন্দি অবস্থায় আছেন প্রায় ৫ লাখ ৩৩ হাজার মানুষ।
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সিলেটের তথ্যমতে সকাল ৬টায় সিলেটের কানাইঘাট সুরমা পয়েন্টে বিপৎসীমার ৯৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। জকিগঞ্জ উপজেলার কুশিয়ারা নদীর অমলসিদ পয়েন্টে ২০৯ সেন্টিমিটার পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অন্য দুটি পয়েন্ট গোয়াইনঘাটের জাফলং ডাউকি পয়েন্ট ও সারি গোয়াইন পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রভাবিত হচ্ছে।
![](https://dainiksylhet.com/files/uploads/2024/05/s23.jpg)
ছবি: মাসুদ আহমদ রনি
জেলা প্রশাসনের সূত্রমতে, সিলেট জেলায় ৫৪৭টি আশ্রয়কেন্দ্র চালু করা হয়েছে। এর মধ্যে সাতটি উপজেলার ৩৪৯টি আশ্রয়কেন্দ্রে বন্যাকবলিত এলাকার ৪ হাজার ৮০২ জন লোক আশ্রয় নিয়েছে। প্লাবিত উপজেলাগুলোর মধ্যে কানাইঘাট, জৈন্তাপুর, গোয়াইনঘাট, কোম্পানীগঞ্জ ও জকিগঞ্জে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে চাল, শুকনো খাবার ও অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে।
সিলেটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোবারক হোসেন জানান, বন্যাকবলিত উপজেলায় আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় জেলা প্রশাসন সার্বিক প্রস্তুতি নিয়েছে। জেলা ও উপজেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির বৈঠক হয়েছে। উপজেলা ও জেলা পর্যায়ে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। বন্যাকবলিত মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে আসা হচ্ছে। দ্রুততম সময়ের মধ্যে সবার কাছে ত্রাণ পৌঁছে দেয়া হবে।