নগরীর বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে ভারপ্রাপ্ত মেয়র কামরান ব্যস্ত সময় পার করছেন
![](https://dainiksylhet.com/images/icon.jpg)
দৈনিক সিলেট ডট কম
সীমান্তবর্তী এলাকায় বন্যা পরিস্থিতি খানিকটা উন্নতি হলেও সুরমা নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করায় সিলেট নগর প্লাবিত হয়েছে। শুক্রবার (৩১ মে) সকাল থেকে সিলেট নগরের বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। সুরমার পানি বেড়ে নগরের ছড়াখালগুলো দিয়ে উল্টো পানি ঢুকে তালতলা, মেন্দিবাগ, মাছিমপুরসহ বিভিন্ন এলাকার সড়ক ও বাসাবাড়ি প্লাবিত হচ্ছে। পানি ওঠেছে সুবহানিঘাট মাদরাসায়ও। মাদরাসার সামনের মাঠ যেন পুকুরে পরিণত হয়েছে।
এদিকে নগরীর বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে ভারপ্রাপ্ত মেয়র মখলিছুর রহমান কামরান ব্যস্ত সময় পার করছেন। সেই সাথে দিনভর কর্মতৎপর ছিলেন সিলেট সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর ও কর্মকর্তা কর্মচারীরা।
নগরীর ১৫নং ওয়ার্ডের কিশোরী মোহন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ও পাশ্ববর্তী একটি ৫তলা খালি বিল্ডিংয়ে এবং একই ওয়ার্ডের মতিন মিয়ার কলোনির ৪০টি পরিবার আশ্রয় নিয়েছেন। এছাড়াও ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হচ্ছে।
সিলেট সিটি কর্পোরেশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা সাজলু লস্কর জানান, কাউন্সিলরদের দেওয়া তথ্যমতে নগরীতে বন্যায় আক্রান্ত হয়েছেন ইতিমধ্যে ৪ হাজার পরিবার। তাদের পর্যাপ্ত পরিমাণ শুকনো খাবার পাঠানোর ব্যবস্থা করছে সিসিক। আজ শুক্রবার রাতে পর্যাপ্ত পরিমাণ শুকনো খাবার বন্যা কবলিত এলাকার কাউন্সিলরদের কাছে পৌছে দেওয়া হবে।
এদিকে, শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৪টায় নগরীর ১৫, ২২ ও ২৪নং ওয়ার্ডের, সুবহানীঘাট, উপশহর, তেররতন এলাকা পরিদর্শন করেন ভারপ্রাপ্ত মেয়র মো. মখলিছুর রহমান কামরান, প্রধান নির্বিহী কর্মকর্তা মো. ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী, স্থানীয় কাউন্সিলর শাহানা বেগম শানু, ২২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফজলে রাব্বি চৌধুরী মাসুম, ২৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর হুমায়ুন কবির সুহিন, জনসংযোগ কর্মকর্তা সাজলু লস্কর।
এসময় ভারপ্রাপ্ত মেয়র মখলিছুর রহমান কামরান বলেন, উজান থেকে নেমে আসা ঢল আর টানা বৃষ্টির কারণে সিলেটের নদ নদীর পানির বেড়ে ইতিমধ্যে সিলেটের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। বন্যার পানি শহরের দিকে ধেয়ে আসছে। সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী তত্ত্বাবধানে সংকট মোকাবেলা করতে পূর্বপ্রস্তুতি হিসেবে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।
ইতিমধ্যে আমাদের বিভিন্ন শাখা ছুটি বাতিল করে বন্যা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন। সকাল থেকে আমাদের কার্যক্রম চলছে বলে জানান তিনি।
উল্লেখ্য, সিসিক মেয়র আনোয়ারুজ্জান চৌধুরীর নির্দেশে বৃহস্পতিবার জরুরি সভা করে সিসিক কতৃপক্ষ। সভায় কর্মকর্তা-কর্মচারিদের ছুটি বাতিল করে বিভিন্ন সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। তারই অংশ হিসেবে শুক্রবার দিনভর কর্মতৎপরতা চালায় সিসিক কতৃপক্ষ।
প্রধান সিলেট সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলরবৃন্দ, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী, প্রধান নির্বাহী প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমানসহ বিভিন্ন শাখা কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।