ধর্মীয় উগ্রবাদ, ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি ইসলামে নিষেধ
আমার এলাকার যে ইসলামিক প্রতিষ্ঠান যা মাদ্রাসা নামে পরিচিত তাদের বিরুদ্ধে তারা শিক্ষার আড়ালে জঙ্গি সংগঠন সন্ত্রাসী কার্যক্রম করতেন তার বিরুদ্ধে সংবাদ। কওমি মাদ্রাসার শিক্ষা ব্যবস্তা আসলে আমাদের স্কুল কলেজের থেকে আলাদা । আমি আমার এলাকার শিশুদের উগ্র আচরণ এবং তাদের মুখে জিহাদ শব্দ গুলে শুনে আমার চোখ যায় আমি আমার লেখালেখির অভিযান শুরু করি, আমি দেখতে পাই আমার এলাকার সুনামগঞ্জ ছাতক এর বিভিন্ন মাদ্রাসায় অসামাজিক কার্যক্রম তারই ধারাবাহিকতায় আমি দেখলাম তারা ছাত্রদের জিহাদি প্রশিক্ষণ জঙ্গিবাদের প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে।
আমি এ ব্যাপারে ছদ্মবেশ ধারণ করে নামাজ পড়ার নিয়েতে যেতাম যেহেতু পাশে মসজিদ ছিল।
আমি আরো দেখলাম যে এখনে বাংলাদেশ জামাত ইসলামের সুনামগঞ্জ জেলার আমির অ্যাডভোকেট শামসু উদ্দিন উনার হস্তক্ষেপ খুঁজে পাই। এলাকার হওয়ার কারণে অনেক ছাত্র আমার পরিচিত ছিল তাদের কাছে থেকে খবর পাই অ্যাডোবকেট শামসু উদ্দিন মাঝে মাদ্রাসায় আসতেন পরবর্তিতে আমি সত্যতা যাচাই করলাম দেখলাম যে তিনি তাদেরক আসলে কিভাবে ধর্মের নাম দিয়ে উগ্রবাদ ছড়ানো জিহাদ কায়েম করা এ বিষয়ে বলতেন যা ছিলো সমাজ এবং দেশের জন্য হুমকি স্বরূপ।
এর পর থেকে এলাকায় তোলপাড় শুরু হয় চর্চা শুরু হয় মাদ্রাসা নিয়ে জামাতের আমির কে নিয়ে ,তাদের গ্রেফতার করার দাবি জানাই। প্রশান যেনো সেখানে যায় এবং সবকিছু পর্যালোচনা করে।
আরো দুটি ঘটনা:
১। সুনামগঞ্জ ছাতকে একজন ইমাম হিল্লা বিয়ের নামে এক নারীকে বিয়ে করে মসজিদের সিঁড়িতে যৌনকর্ম করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
২। সুনামগঞ্জ শহরে তাবলীগ জামাতের দুই পক্ষের সংঘর্ষে একজন মুসল্লির মৃত্যু। আমাদের পবিত্র বিশ্বাসের সাথে এগুলো কেমন ফাজলামি? এদের পোশাক, চেহারা সুরত তাঁদের কথানুযায়ী ধর্মীয়।কাজ কি ধর্মের শিক্ষার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ? মসজিদে সহবাস! ইসলামের ইতিহাসে এমন কোন ঘটনা আজ পর্যন্ত শোনা যায়নি। তারা যে এমন বর্বর আচরণ করেছেন তা কি তাদের শিক্ষার সাথে যায়? নাকি এমন স্যাডিস্টিক শিক্ষাই তারা আমাদের ধর্মীয় শিক্ষা লয়ে পেয়ে আসছেন? ধর্ম নিয়ে যারা জ্ঞান রাখেন তারা এই দুটি ঘটনায় কি পদক্ষেপ নেন তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ইসলামের শিক্ষা,রীতি, বিশ্বাস, আধ্যাত্মিকতার যদি বিকাশ হয় তাহলে এগুলো ঘটছে কিভাবে? কোন কোন খাতে শূন্যতা রয়েছে তা দূর করার দায়িত্ব কার? একজন ইমাম কিভাবে ইমামতির দায়িত্ব পান যে কিনা এমন বর্বরতায় নিজেকে ব্যাপৃত করতে পারেন? কে দেখবে এটা? এধরনের মানসিকতা কেন ইমামের মধ্যে এলো তার প্রতিকার কি? এই ঘটনার প্রেক্ষিতে কি আমাদের আলেম সমাজের সুনির্দিষ্ট বক্তব্য ও দিকনির্দেশনা কাম্য নয় ? আমাদের বিশ্বাসের মর্যাদা রক্ষা করবে কে? তাবলীগ শান্তিপূর্ণ পথে ধর্মের আদর্শ প্রচার করে আসতো বলে এ যাবত দাবী করা হয়েছে। এখন সেখানে মানুষ হত্যা করে কিসের শান্তি প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে বা হবে? ধর্মীয় উগ্রবাদ, ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি ইসলামে নিষেধ। কিন্তু আজ পর্যন্ত কেন এগুলোর বিরুদ্ধে ইসলামী নেতৃবৃন্দের কার্যকর পদক্ষেপ আমরা দেখছি না।এগুলো চলতে থাকলে অন্য ধর্মের অনুসারী তো বটেই খোদ মুসলমানরা কি ভাববে? বিষয়টির আশু সমাধান, নির্দেশনা কাম্য। আল্লাহ আমাদের কুপমন্ডুকতা, হিংস্রতা, অবিমৃষ্যকারীতা থেকে রক্ষা করুন।