প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহারের ঘর পাচ্ছে আরও ১৮,৫৬৬ গৃহহীন পরিবার সিলেটে ১৮৩
![](https://dainiksylhet.com/images/icon.jpg)
দৈনিকসিলেটডেস্ক
আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের অধীনে ৫ম পর্যায়ের দ্বিতীয় ধাপে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঈদুল আজহার আগে উপহার হিসাবে আজ মঙ্গলবার সারাদেশে আরও ১৮ হাজার ৫৬৬ ভূমি-গৃহহীন পরিবারকে জমি ও ঘর হস্তান্তর করবেন।
সিলেটে ১৮৩টি ঘরের মধ্যে ওসমানীনগরে ১১০টি, বিশ্বনাথে ৩টি, গোয়াইনঘাটে ৪০টি ও বিয়ানীবাজারে ৩০ টি।
কক্সবাজারের ঈদগাঁও, লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ এবং ভোলার চরফ্যাশনে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি জমি ও ঘর হস্তান্তর করবেন। এর মধ্য দিয়ে আরও ২৬টি জেলা এবং ৭০টি উপজেলা পুরোপুরি ভূমি-গৃহহীনমুক্ত হবে। এর আগে ছয় দফায় ৩২টি জেলার সব উপজেলাসহ ৩৯৪টি উপজেলাকে ভূমি-গৃহহীন মুক্ত করা হয়েছিল। সব মিলিয়ে এখন মোট ৫৮টি জেলা এবং ৪৬৪টি উপজেলা হবে গৃহহীন-ভূমিহীনমুক্ত।
নতুন করে ভূমি-গৃহহীন মুক্ত জেলাগুলো হচ্ছে- ঢাকা, গোপালগঞ্জ, শরিয়তপুর, ফরিদপুর, নেত্রকোনা, কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, চাঁদপুর, লক্ষ্মীপুর, নোয়াখালী, কুমিল্লা, ফেনী, গাইবান্ধা, লালমনিরহাট, নীলফামারী, সিরাজগঞ্জ, বগুড়া, সাতক্ষীরা, যশোর, খুলনা, নড়াইল, বাগেরহাট, বরগুনা, বরিশাল, হবিগঞ্জ ও সুনামগঞ্জ।
আশ্রয়ণ প্রকল্প এবং অন্যান্য কার্যক্রমের মাধ্যমে ঘর দেওয়ায় এখন পর্যন্ত ৪৩ লাখ ৪০ হাজার ভূমি-গৃহহীন মানুষ পুনর্বাসিত হয়েছেন। এর মধ্যে শুধু আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে পুনর্বাসিত হয়েছেন ২৯ লাখ ১০ হাজার ২৬৫ জন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শুধু ঘর উপহার দিচ্ছেন না। তাদের জীবনমান উন্নয়নে দেওয়া হয়েছে পেশাভিত্তিক প্রশিক্ষণ ও ঋণ। পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপের মাধ্যমে গড়ে তোলা হয়েছে গরুর খামার এবং দেওয়া হয়েছে সেলাই মেশিনের কাজ। এছাড়া হাঁস-মুরগি, কবুতর পালন ও শাকসবজি উৎপাদনসহ কৃষি কাজের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন নোয়াখালী (বর্তমান লক্ষ্মীপুর) জেলার রামগতি উপজেলার চরপোড়াগাছা গ্রামে ভূমি-গৃহহীন, অসহায় ছিন্নমূল মানুষের পুনর্বাসন কার্যক্রম শুরু করেন। পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করে তার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। সমাজের সুবিধাবঞ্চিত মানুষকে উন্নয়নের মূলধারায় সম্পৃক্ত করার জন্য শেখ হাসিনা সরকার গত ১৫ বছরে বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। ভূমি-গৃহহীন মানুষকে মাথা গোঁজার ঠাঁই করে দিয়ে তাদের ভাগ্য পরিবর্তনের মাধ্যম হিসাবে সারাবিশ্বে প্রশংসিত দারিদ্র্যবিমোচনে অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নে ‘শেখ হাসিনা মডেল।’