বিশ্বনাথে বন্যার পানি কমতেই সড়কে ক্ষতচিহ্ন, যাতায়াতে দূর্ভোগ

বিশ্বনাথ প্রতিনিধি
সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে।ঢল ও ভারী বর্ষনে সৃষ্ট বন্যার পানি ধীরে ধীরে কমতে শুরু করেছে।তবে কিছু কিছু নিম্নাঞ্চল এখনো প্লাবিত রয়েছে। পানি নামার সাথে সাথে হাজারো ক্ষতচিহ্ন নিয়ে ভেসে উঠেছে উপজেলার নদী তীরবর্তী ও গ্রামীণ কাঁচাপাকা ও জনগুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলো। প্রবল স্রোতে ভেঙে গেছে প্লাবিত বিভিন্ন সড়ক ও ধেবে গেছে ছোট ছোট ব্রীজের উভয় পাশ।এতে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে অনেক এলাকার।
এখনো পানির নিচে রয়েছে ঘরবাড়ি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও গ্রামীণ সড়ক।বন্যার পানিতে লন্ডভন্ড হয়েছে আউশ আবাদী ফসলের মাঠ,গ্রীষ্মকালীন বিভিন্ন সবজীর ফসল ও মৎস্য খামার।ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অনেক ঘরবাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। সুরমা কুশিয়ারা বাসিয়া ও মাকুন্দা নদীর পানি কমতে থাকায় উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে এবং আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রিত অনেক পরিবারের লোকজন ইতিমধ্যে বসত ভিটায় ফিরতে শুরু করেছেন।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায় ,পানি নামতে শুরু করায় স্বস্তি ফিরেছে ঠিকই কিন্তু বন্যা আক্রান্ত লোকজনে হতাশায় ভুগছেন বেশি। আবার ধীর গতিতে পানি নামার বিষয়টি ভাবিয়েও তুলেছে নিম্নাঞ্চলের মানুষকে। এতে করে অধিকাংশ লোকজনের রাত কাটছে নির্ঘুমে। বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে উপজেলা সদর,লামাকাজী,খাজাঞ্চী ইউনিয়নে,অপরিবর্তিত রয়েছে দৌলতপুর ,দশঘর,অলংকারী ও রামপাশা দেওকলস ও দশঘর ইউনিয়নে।বন্যায় বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে লামাকাজী, খাজাঞ্চী ইউনিয়নের পথঘাট। পানির স্রোতে ভেঙে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে একাধিক সড়কে।পিচঢালাসহ কোথাও কোথাও নিশ্চিহ্ন হয়েছে সড়কের আংশিক। ক্ষতিগ্রস্ত সড়কের মধ্যে রয়েছে লামাকাজী-পরগনা সড়ক, পরগনা পয়েন্ট, পরগনা-আকিলপুর সড়কের আতাপুর এলাকা ও রাজাপুর এলাকার সড়ক।অপরদিকে রামপাশা-ভোলাগঞ্জ সড়ক,রাজাগঞ্জবাজার-খাজাঞ্চী সড়ক।এসব সড়ক একেবারে অনুপযোগী হয়ে পড়েছে যানচলাচলের।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী সাংবাদিককে জানান, বন্যায় উপজেলার ৮৫-৯০ কিলোমিটার সড়ক পানিতে তলিয়ে যায়।এর মধ্যে একাধিক ব্রীজ ও কালভার্টও আছে।ভেসে উঠা সড়কে যে পরিমান ক্ষয়ক্ষতি দেখা যাচ্ছে, সে অনুপাতে পানির নীচে থাকা সড়কগুলোর এ অবস্থা হলে,ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়াবে আনুমানিক ৭০-৭৫ কোটি টাকা।ক্ষতিগ্রস্ত সকল সড়কের ব্যাপারে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবো।