তাহিরপুরে বাড়ছে পানি, সীমান্ত সড়কে দূর্ভোগ
![](https://dainiksylhet.com/images/icon.jpg)
তাহিরপুর প্রতিনিধি
টানা বৃষ্টিতে সুনামগঞ্জের সীমান্ত এলাকার নদ নদীর পানি বাড়ছে৷ ভাটির দিকে বৃদ্ধি পাওয়ার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সড়ক পানিতে তলিয়ে গেছে
তাহিরপুর উপজেলার সীমান্ত এলাকার সড়ক,তাহিরপুর-বাদাঘাট সড়ক,আনোয়ারপুর সড়ক ও পাশ্ববর্তী বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা শক্তিয়ারখলা সড়কে ভাঙ্গন ধরেছে,শক্তিয়ার- খলা কৈয়ারকান্দা সড়ক পানিতে ডুবে যাওয়ায় সুনামগঞ্জ জেলা শহরের সাথে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। এছাড়াও উপজেলার অভ্যন্তরির সড়ক পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় নৌকায় চলাচল করছে মানুষজন।
তাহিরপুর বাজার বনিক সমিতির সভাপতি সেলিম আখঞ্জি ও সাধারণ সম্পাদক পারভেজ জামান জানান,সড়ক পানিতে ডুবে যাওয়ায় জেলায় যেতে গিয়ে নৌকায় ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছে মধ্যনগর,ধর্মপাশা,তাহিরপুর উপজেলার বাসিন্দাগন। যে ভাবে পানি আবারও বাড়তে শুরু করেছে মনে হয় বন্যা আবারও হবে আর সেই আশংকায় উৎবেগ উৎকন্ঠায় রয়েছে হাওর ও নদীর তীরবর্তী মানুষজন।
এদিকে বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে পানি কোনো কোনো এলাকায় বিপদ সীমা অতিরিক্ত করতে পারে আবহাওয়ার পূর্বাভাসের বরাদ দিয়ে জানিয়েছেন সুনামগঞ্জ পাউবো।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার সোমবার(০১ জুলাই)জানিয়েছেন, সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার বলেন,সুনামগঞ্জে গত ২৪ পর্যন্ত ১৭০ মিলিমিটার ও এই সময়ে ভারতের চেরাপুঞ্জিতে ৩১৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হওয়ার ফলে নদ নদীতে পানি বেড়েছে। দুপুরে সুনামগঞ্জ পয়েন্টে সুরমা নদীর পানি বিপৎসীমার ১২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে,জেলার ছাতক পয়েন্টে সুরমা নদীর পানি বিপৎসীমার ২৩ সেন্টিমিটার ওপরে এবং তাহিরপুর উপজেলার সীমান্ত নদী যাদুকাটার পানি বিপৎসীমার ৯৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
আগামি কয়েকদিন টানা বৃষ্টিপাত হবে এতে করে নদ নদীর পানি কোনো এলাকায় বিপদ সীমা অতিক্রম করতে পারে। নিচু এলাকায় বন্যার সম্ভাবনা রয়েছে।
বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার দক্ষিণ বাদাঘাট ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য কামাল হোসেন জানান,সুনামগঞ্জ-বিশ্বম্ভরপুর-তাহিরপুর সড়কে সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। অনেক পর্যটকগন এই বন্যার মধ্যে তাহিরপুর যেতে গিয়ে দূর্ভোগে পরেছে। ১০০ মিটার সড়ক পানিতে ডুবে যাওয়ায় বাঘমারা এলাকা থেকে আনোয়ারপুর নৌকা দিয়ে যাতায়াত করছে।
তাহিরপুর সীমান্তের চারাগাও এলাকার বাসিন্দা সাদ্দাম হোসেন জানান, মেঘালয় পাহাড় থেকে ঢলের পানি সীমান্ত এলাকার বিভিন্ন সড়ক উপছে পানি প্রবল বেগে ভাটির দিকে অগ্রসর হচ্ছে। এতে করে চলাচলের সড়ক পানিতে ডুবে যাচ্ছে। এমনিতেই সীমান্তের সড়ক গুলো চলাচলের অযোগ্য এর মধ্যে বন্যায় আরও ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে।
বালিজুরী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আজাদ হোসাইন জানান, পাহাড়ি ঢলের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নদী তীরবর্তী গ্রামের বাসিন্দারা ভাঙ্গন আতংকে রয়েছে। যাদুকাটা নদীর পানি প্রবল বেগে গ্রামের ভিতর দিয়ে ভাটির দিকে অগ্রসর হচ্ছে। নিচু এলাকার বাসিন্দাগন চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে।