ফেইসবুকে পোস্টের জেরে খায়রুল আমিন রুমনকে মারধর: হত্যার হুমকি, মামলা দায়ের

নজিবুর রহমান আরিফ
সিলেটের গোয়াইনঘাটের আঙ্গাজুর গ্রামে রবিউল আমিন সুমনের হত্যার ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে পোস্টের জের ধরে খায়রুল আমিন রুমন নামের এক যুবককে বেধড়ক মারধর, হত্যার হুমকির ঘটনা ঘটেছে। গত ১৬ নভেম্বর ২০২৩ তারিখে এঘটনা ঘটে।
রবিউল আমিন সুমনের হত্যার ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে পোস্টের জেরে খায়রুল আমিন রুমন এর ক্ষিপ্ত হয়ে ক্বওমি মাদরাসার শিক্ষকরা ডিজিটাল নিরপত্তা আইনে গোয়াইনঘাট থানায় মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় থানায় পুলিশ খায়রুল আমিন রুমনকে গ্রেফতার তৎপর রয়েছে।
প্রতক্ষদর্শী সুত্রে জানা যায়, আঙ্গারজুর গ্রামের খায়রুল আমিন রুমনের ছোট ভাই রবিউল আমিন সুমন। রবিউল আমিন সুমন ক্বওমি মাদরাসা ছাত্র। তাকে মাদরাসা শিক্ষকরা জোরপূর্বক বলাৎকার করে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে। এঘটনায় খায়রুল আমিন রুমন শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ফেইসবুকে ভিডিও, সাইফুল বাটেন টিটো’র লেখা “বিশ্বপোরা” নামে একটি বই বিতরণ করার কারণে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে মাদরসা শিক্ষক কর্তৃপক্ষ ১৬ নভেম্বর ২০২৩ তারিখে রুমন বাজার থেকে ফেরার পথে তাকে মারধর করছিল। সেখানে লোকজন আসতে দেখে তারা পালিয়ে যায়। তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসকের কাছে নেওয়া হয়। এঘটনার ৬ দিন পর ২২ নভেম্বর ২০২৩ তারিখে রুমনের ভাড়াটিয়ারা বাড়িতে এসে তাকে হত্যার হুমকি দেয় পুলিশ। তিনি পুলিশ হস্তক্ষেপ করতে চাইলে তা অস্বীকার করে পুলিশ। গত ৫ ডিসেম্বর ২০২৩ তারিখে রুমনের বিরুদ্ধে মাদ্রাসা শিক্ষকরা কর্তৃপক্ষদের মামলার ঘটনা স্থানীয় এবং অনলাইনে সংবাদপত্র প্রকাশিত হয়।
এঘটনায় ১২ ডিসেম্বর ২০২৩ তারিখে পুলিশ রুমনকে গ্রেফতার করতে তার বাড়িতে আসে না পেয়ে তার ফেইসবুক আইডি (খায়রুল আমিন রুমন) অ্যাকাউন্ট নিষ্ক্রিয় করে দেয়। যার লিঙ্ক https://www.facebook.com/profile. এসব ঘটনার পর তিনি বাড়িতে গোপনে থাকে। তার জীবন রক্ষার্থে ও গ্রেফতার এড়াতে আইনজীবী মাসুদের পরামর্শে ৫ জানুয়ারী ২০২৪ তারিখে দেশ ছেড়ে চলে যায়। পরে তিনি ৯ মার্চ ২০২৪ তারিখে হাঙ্গেরিতে যায় এবং ২০২৪ সালের ১০ মার্চ হাঙ্গেরি থেকে ফ্রান্সে চলে যায়।