গোয়াইনঘাটে মাদরাসা ছাত্র সুমনকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা, মামলা গ্রহন করেনি থানা পুলিশ

সাইফুল ইসলাম, গোয়াইনঘাট প্রতিনিধি:
সিলেটের গোয়াইনঘাটে রবিউল আমির সুমন (০৬) নামে এক যুবককে মাদরাসা শিক্ষকদের পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। পরিবারের দাবি, পরিকল্পিতভাবে গভীর ষড়যন্ত্র লিপ্ত হয়ে তাকে হত্যা করা হয়েছে।
নিহত রবিউল আমির সুমন গোয়াইনঘাট উপজেলার আঙ্গারজুর পশ্চিমপাড়া গ্রামের আজির উদ্দিন বতরুন নেছার ছেলে।
গত ৯ জুলাই বিকেল ৪টায় হাসপাতালে অতিরিক্ত মারধরের কারণে প্রচুর রক্তকরণের কারণে তিনি মারা যান।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, গোয়াইনঘাটের আঙ্গারজুর পশ্চিম পাড়ারের রবিউল আমিন সুমন (৬) কওমি মাদরাসায় লেখাপড়া করে আসছে। তার পড়ালেখা চলাকালে মাঝে মাঝে বাসায় এসে সে বলতো শিক্ষকরা তাকে বেশি মারধর করে। তার পরিবার এমন অভিযোগে কোনো গুরুত্ব দেয়নি। এরপর গত ৭ জুলাই ২০২৩ তারিখে তার মাদ্রাসা থেকে ফোন করে খবর এসেছে সে হটাৎ অসুস্থ পড়লে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ খবর শুনে তার পবিার হাসপাতালে চলে যায় সেখানে গিয়ে রবিউলের চিকিৎসা দেওয়া ব্যবস্থা করেন। চিকিৎসকরা বলছে রবিউলের প্রচুর রক্তক্ষরণ হচ্ছে তাকে বাঁচানো সম্ভব হবে না। হাসপাতালে দুই দিন চিকিৎসা ৯ জুলাই ২০২৩ তারিখে রবিউল মারা যায়। এসময় রবিউলের মৃত্যুর খবর বিভিন্ন পত্রিকা ও অনলাইনে প্রকাশিত হয়। এঘটনায় রবিউলের পরিবার গোয়াইনঘাট থানা পুলিশে কাছে একাধিকবার অভিযোগ করতে গেলে পুলিশ মামলা তা আমলে নেয় না। পরে তার পরিবার ১৮ জুলাই ২০২৩ তারিখে সিলেট জজ কোর্টে মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর আদালত পুলিশকে মামলাটিও বন্ধের নির্দেশ দেন। পরবর্তীতে রবিউলের মৃত্যুর সনদপত্র ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেয়ে এক মাস পর ২০২৩ তারিখে ১২ আগস্ট পুলিশ আদালতে মিথ্যা মামলা বলে ঘোষনা দেন। কোর্ট ঘোষনা করেন রবিউল ছাদ থেকে পড়ে মারা গেছে এর প্রেক্ষিতে কোর্ট মামলাটি বন্ধ করে দেয়। পরে রবিউলের বড়ভাই খায়রুল আমিন রুমন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হত্যাকারীদের বিরুদ্ধে লাইভ ও ভিডিও প্রচার করে জনগনের কাছে পৌছে দেয়।
এঘটনার বিষয়ে রবিউল আমির সুমনের মা বতরুন নেসা অভিযোগ করে বলেন, আমার মাদরাসা পড়–য়া ছেলেকে ক্বওমি মাদরাসার হুজুররা ষড়যন্ত্র ও পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে। আমার ছেলে হত্যাকারীদের গ্রেফতার আইনের আওতায় এনে জোর দাবি জানান তিনি।