সিলেটে বন্যায় ৩৩৯ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠদান বন্ধ, দুশ্চিন্তায় শিক্ষার্থীরা

দৈনিকসিলেট ডটকম
সিলেটে তৃতীয় দফা বন্যা পরিস্থিতি চলমান। এই বন্যার কারণে সিলেট জেলার ২৭৩টি প্রাথমিক ও ৬৬টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কলেজ ও মাদরাসা বন্ধ রয়েছে। যার ফলে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন বন্যাকবলিত এলাকার শিক্ষার্থীরা ও অভিভাবকরা। পাশাপাশি বন্যা পরবর্তী শিক্ষার্থীদের যথাসময়ে কোর্স শেষ করার নিয়েও দুশ্চিন্তায় আছেন বন্যাকবলিত এলাকার শিক্ষকরা।
সিলেট জেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, সিলেট জেলায় ৬৭৩টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কলেজ ও মাদরাসা রয়েছে। বন্যার কারণে এর মধ্যে ৬৬টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। বন্ধ থাকা ৬৬ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে ওসমানীনগর উপজেলায় ২১টি, বালাগঞ্জ উপজেলায় ১৪টি, ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলায় ৫টি, জকিগঞ্জ উপজেলায় ৫টি, বিয়ানীবাজার উপজেলায় ১১টি, গোলাপগঞ্জ উপজেলায় ৮টি ও দক্ষিণ সুরমা উপজেলায় ২টি।
সিলেট জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, সিলেট জেলায় ১ হাজার ৪৭৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এর মধ্যে বৃহস্পতিবার ২৭৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠদান বন্ধ রয়েছে।
এ ব্যাপারে সিলেট জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সাখাওয়াত এরশেদ বলেন, ‘বন্যার কারণে সিলেটের বিভিন্ন উপজেলায় ২৭৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ রয়েছে। এর মধ্যে কিছু বিদ্যালয়ে আশ্রয়কেন্দ্র আছে। আর কিছু বিদ্যালয় পানিতে নিমজ্জিত আছে। বন্ধ থাকার কারণে অবশ্যই শিক্ষার্থীদের পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে। তারপরও আমরা বন্যা পরবর্তী পাঠদানের বিশেষ পরিকল্পনা করে রেখেছি। তবে পানি না কমায় এখন বন্যাকবলিত এলাকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানই খুলতে পারছি না।’
সিলেট জেলা শিক্ষা অফিসার আবু সাঈদ মো. আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, ‘বন্যার কারণে ৬৬টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কলেজ ও মাদরাসা বন্ধ রয়েছে। তবে বিগত কয়েকদিন যাবত এই সংখ্যা কমছে। কারণ বিভিন্ন এলাকায় বন্যার পানি কমা শুরু হয়েছে। কিন্তু এখন যদি আবার পানি বেড়ে বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয় তাহলে বন্ধ থাকা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বাড়বে।’
তিনি বলেন, ‘এ ধরনের পরিস্থিতি মোকাবেলায় স্থানীয় প্রশাসন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটিসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে আমাদের নির্দেশনা দেওয়া আছে। বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হলে তারা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখবে এবং বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলবেন।’