বিশ্বনাথে সবজির বাজারে দিনমজুর ক্রেতার দ্বীর্ঘশ্বাস

সমুজ আহমদ সায়মন বিশ্বনাথ থেকে
পাঁচশত টাকা রোজগার করে দিনশেষে বাজারে এসে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম শুনে দিনমজুর তপুর আলীর দ্বীর্ঘশ্বাস ”বাজারে যে হালত লাগছে,কিতা খাইয়া বাঁচতাম”।এ কথাগুলো শুধু তপুর আলীর নয় আরো অনেকের।
নিত্যপণ্যের দামের উর্ধ্বগতিতে এমনিতেই জনজীবন অতিষ্ঠ।এরপর যেন আরেকবার মরার উপর খাঁড়ার ঘা। অব্যাহত মূল্যবৃদ্ধিতে এ অবস্থায় বাজারে এসে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন মধ্যবিত্ত ও তপুর আলীর মত নিম্ন আয়ের হাজারো লোকজন।
শান্তি নেই পুষ্টির সংস্থান সবজির বাজারেও।বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে দাম বাড়িয়েই চলছেন ব্যবসায়ীরা।বেশীরভাগ সবজির দাম কেজি প্রতি ৮০ -১০০ টাকার উপরে।অপরদিকে কোনোমতে ঝাল কমছে না কাঁচা মরিচের। ১ কেজি কাঁচামরিচ ক্রয় করতে খুচরা বাজারে গুনতে হচ্ছে ৩২০ থেকে ৪০০ টাকা।এমন অবস্থায় বেশ বিপদে আছেন ক্রেতারা।নিত্যপ্রয়োজনীয় শাকসবজির এমন অস্বাভাবিক দামে নাকানিচুাবানী খেতে হচ্ছে তাদের। এর মধ্যে পিঁয়াজের দাম খুচরা বাজারে সেঞ্চুরির উপরে দাঁড়িয়েছে।এ নিয়ে বাজারে ক্রেতা বিক্রেতারদের মধ্যে লক্ষ্য করা গেছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। চলমান বন্যায় স্থানীয় গ্রীষ্মকালীন সবজির ফসল নষ্ট হওয়ায়কে দাম বাড়ার কারণ হিসেবে দেখছেন বিক্রেতারা।অপদিকে ক্রেতারা বলছেন,বাজারে যথেষ্ট সবজির সরবরাহ থাকার পরও বিভিন্ন অজুহাতে অধিক মুনাফা লাভে দাম বাড়িয়েছে বিক্রেতারা।
১১ জুলাই বৃহস্পতিবার বিশ্বনাথ উপজেলার বিভিন্ন বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
দেখা গেছে বাজারে প্রতিকেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা,কচুর মুখির কেজি ৯০ থেকে ১০০টাকা,টমেটো ১২০ থেকে ১৪০ টাকা,পটল ৮০-৯০টাকা,চিচিঙ্গা ৯০-১০০ টাকা,ঝিঙা ৮০-১০০টাকা,পেঁপে ৭০-৮০,কাঁকরোল ৭০-৭৫ টাকা,ধুন্দল ৭০-৮০ টাকা,মুলা ৬০-৭০টাকা,বরবটি ৭০-৮০টাকা,করলা৯০-১০০ টাকা,বেগুন ৭০-৮০টাকা,মিষ্টি কুমড়া প্রতি পিস আকারভেদে ৮০-১২০ টাকা,লাউ ৮০-৯০টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া ধনিয়া পাতা,পুইশাকসহ অন্যান্য সবজিও বেশী দামে বিক্রি হচ্ছে।
বশির মিয়া বলেন,বাজারে পণ্যের দাম প্রতিনিয়ত বাড়ছে।অনেক কষ্টে সংসারে খরচ মেটাতে হচ্ছে। বন্যা পরবর্তী কাজকর্ম নেই।তাই বাজারে এসে এক কেজি আলু ও এক কেজি কচুর মুখির দাম শুনে কপালে চিন্তার ভাঁজ যেন মিটছেনা। ব্যবসায়ী রুস্তুম আলাী বলেন,চলমান বন্যার কারনে বাজারে সবজির পরিমাণ কম থাকায় পাইকারি বাজারে বা আড়ৎদারদের কাছে সবজির দাম বাড়তি।যার প্রভার পড়েছে খুচরা বাজারে। অন্যদিকে শান্তি নেই মসলার বাজারেও।রসুন আদাসহ অন্যান্য সামগ্রী বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে।খুচরা বাজারে রসুন প্রতি কেজি ২৪০-২৬০ টাকা,আদা ৩০০-৩২০ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে। জিরা,গুয়ামুরির দাম বাড়তি।