সুনামগঞ্জকে শান্তির শহর বানাতে চান নবাগত পুলিশ সুপার

রাজু আহমেদ রমজান, সুনামগঞ্জ
সুনামগঞ্জকে শান্তির শহর বানাতে সাংবাদিকদের পরামর্শ সহযোগিতা চেয়েছেন নবাগত পুলিশ সুপার এম.এন মোর্শেদ। জেলায় দায়িত্বরত সাংবাদিকদের নিয়ে মতবিনিময় সভায় এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) দুপুরে পুলিশ সুপার কার্যালয়ের কনফারেন্স হলে এ সভা চলে।
সভায় পরিচিতি পর্ব শেষে এই জেলার বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ সর্ম্পকে উপস্থিত সাংবাদিকদের কাছে জানতে চান নবাগত এই পুলিশ সুপার। এসময় উপস্থিত গণমাধ্যমকর্মীরা চোরাচালান, চাঁদাবাজি, ইভটিজিং, মাদক, ট্রাফিক ব্যবস্থাসহ সমসাময়িক বিভিন্ন বিষয়ে পুলিশ সুপারকে অবগত করেন।
এ প্রসঙ্গে পুলিশ সুপার বলেন, আমি খালি হাতে এসেছি যাবার বেলা খালি হাতে ফিরে যাবো। সুনামগঞ্জে কোনো অন্যায়, অনিয়মকে প্রশ্রয় দেব না। সুনামগঞ্জকে মাদক ও ইভটিজিং মুক্ত বসবাসযোগ্য জেলা হিসেবে গড়ে তোলার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি।
জেলার ১২০ কিলোমিটার সীমান্ত এলাকার মাটিরাবন থেকে মহেশখলা পর্যন্ত অগনিত পয়েন্ট দিয়ে ভারতীয় চোরাই পণ্যসামগ্রী জেলা শহরের ভেতর দিয়ে বিভিন্ন স্থানে পাচার হয়। সিলেটে পুলিশ ব্যবস্থা নিলেও সুনামগঞ্জে তা লক্ষ্য করা যাচ্ছে না বলে একাধিক সাংবাদিক অভিযোগ উপস্থাপন করেন।
অভিযোগের জবাবে পুলিশ সুপার বলেন, চোরাচালান-চাঁদাবাজির ক্ষেত্রে সুনামগঞ্জ জেলা পুলিশ কোন আশ্রয়-প্রশ্রয় দেবে না।চোরাচালালের রুট চিহ্নিত করে কঠোর ব্যবস্থা নেব। সুনামগঞ্জের আইনশৃঙ্খলার সকল সমস্যা সমাধানের চ্যালেঞ্জ নিতে চান জানিয়ে তিনি বলেন, যেহেতু সুনামগঞ্জে প্রবেশ এবং বাইরের একটি মাত্র সড়ক। সেই সড়কে যদি গাড়ি রেখে বা দোকানপাট দিয়ে সড়ক দখল করে রাখে তাহলে সড়ক সরু হয়ে যাবে। সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করবো। পাশাপাশি ট্রাফিক বিভাগে কোন ত্রুটি-বিচ্যুতি আছে কি না খোঁজ নেব। জুয়া, গুজব, মাদক, ইভটিজিং সহ অন্যান্য অপকর্মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন পুলিশ সুপার।
সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত আবু সাঈদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) রাজন কুমার দাস, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) জাকির হোসাইন প্রমুখ মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন।
এরআগে গত মঙ্গলবার পুলিশ সুপার (অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) এহসান শাহ এর স্থলাভিষিক্ত হন এম.এন মুর্শেদ। তিনি ২৭তম বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) হিসেবে ২০০৮ সালে বাংলাদেশ পুলিশে যোগদান করেন। সুনামগঞ্জে যোগদানের পূর্বে তিনি পুলিশ সুপার হিসেবে পুলিশ অধিদপ্তর থেকে প্রেষণে এনটিএমসি, ঢাকায় কর্মরত ছিলেন। এছাড়া তিনি বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমি, সারদা, টাঙ্গাইল জেলা, র্যাব-০৮, সার্কেল অফিসার হিসেবে পিরোজপুর জেলায়, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (সদর) হিসেবে বরগুনা জেলায়, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হিসেবে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স, এনটিএমসি সহ পুলিশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ইউনিটে কর্মরত ছিলেন।