অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক হলেন ইউএনও সালমা পারভীন

রাজু আহমেদ রমজান, সুনামগঞ্জ:
হাওরের ফসলরক্ষা বাঁধে অনিয়ম-দুর্নীতি প্রতিরোধে কঠোর ভূমিকা আর সততা-দক্ষতার সাথে দায়িত্বপালনের ফলে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক হিসেবে পদোন্নতি পেয়েছেন সালমা পারভীন। সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পদে রয়েছেন মহীয়সী এই নারী।
জানা গেছে, মহামান্য রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে বুধবার (১০ জুলাই) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মাঠ প্রশাসন-২ শাখার যুগ্ম সচিব ড. আশরাফুল আলম স্বাক্ষরিত পত্রে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক হিসেবে পদায়ন করা হয় তাঁকে। গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে উক্ত পদে শীঘ্রই দায়িত্বপালন করবেন সালমা পারভীন।
উল্লেখ্য, গত ২০২৩ সালের ১৩ ডিসেম্বর তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করেন ৩৩তম বিসিএস (প্রশাসন) ক্যাডারের সদস্য সালমা পারভীন। এর আগে সুনামগঞ্জ জেলা সদর উপজেলায় ইউএনও পদে সুনামের সহিত দায়িত্বপালন করেন চৌকস এই সরকারি কর্মকর্তা।
জানা গেছে, উন্নয়নে পিছিয়েপড়া তাহিরপুর উপজেলায় যোগদানের পর থেকে একটি মডেল উপজেলা হিসেবে গড়ে তুলতে নিজেকে আত্মনিয়োগ করেন ইউএনও সালমা পারভীন। ইতোমধ্যে হাওরের ফসলরক্ষা বাঁধের কাজে অনিয়ম-দুর্নীতি প্রতিরোধে কঠোর ভূমিকা পালন করে সর্বস্তরের জনতার প্রশংসায় ভেসেছেন তিনি।
পদোন্নতির বিষয়টি নিশ্চিত করে সালমা পারভীন এ প্রতিবেদককে বলেন, তাহিরপুর একটি গুরুত্বপূর্ণ উপজেলা। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী চেয়েছিলেন সারাদেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হোক, সে হিসেবে আমাকে এখানে পাঠিয়েছিলেন উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ। আমার বিশ্বাস দক্ষতার সঙ্গে আমি সে দায়িত্ব পালন করেছি। হাওরে ফসলরক্ষা বাঁধ নির্মাণের মতো একটি জনগুরুত্বপূর্ণ কাজ আমি সফলভাবে সম্পন্ন করেছি। অবহেলিত, অনুন্নত ভাটির এ জনপদে জীবিকা নির্বাহের প্রধান উৎস হচ্ছে একফসলি বোরো আবাদ। তাই এ বিষয়ে আমি কারো সঙ্গে কোন আপোষ করিনি। অতিসম্প্রতি জেলাসহ তাহিরপুরবাসী ২য় দফা বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। সে ক্ষেত্রেও আমি সর্বাত্মকভাবে বানভাসির পাশে ছিলাম। এ উপজেলার উন্নয়নে যথাসাধ্য চেষ্টা করেছি জানিয়ে সালমা পারভীন বলেন, আমাকে সার্বিকভাবে সহযোগীতা করেছেন উপজেলাবাসী। এজন্য আমার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ও কর্মস্থল
তাহিরপুরবাসীর কাছে কৃতজ্ঞ।