বিশ্বনাথে কাঁচামরিচের দামে ঝাল: বিপাকে ক্রেতারা

সমুজ আহমদ সায়মন বিশ্বনাথ থেকে
নিত্যপণ্যের বাজার যখন অস্থির ঠিকই তখনি আগুন কাঁচা মরিচের বাজারে।গৃহীনির দেয়া প্রতিদিনের বাজারের তালিকা থেকে কখনও কাঁচা মরিচের নাম বাদ পড়েনা।এখন সেই তালিকা থেকে কি কারণে মরিচের নাম বাদ পড়েছে বাজারে আসা অনেক ক্রেতারা এক কথায় জবাব দেন” মরিচের যে ঝাঁঝ তাই”।সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার বাজারগুলোতো এখন প্রতি কেজি কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ৫০০-৬০০টাকায়।গত কয়েকদিনের ব্যবধানে হঠাৎ করে কাঁচা মরিচের এমন দাম বৃদ্ধি পাওয়াকে অসাধু ব্যবসায়ীদের অধিক মুনাফা লাভ করাকে দায়ী করছেন ক্রেতারা।
সরেজমিনে উপজেলার বেশ কয়েকটি বাজারে গিয়ে দেখা যায় ,৫০০-৬০০টাকা,৪৫০-৫০০টাকা এ অবস্থায় বিক্রি হচ্ছে কাঁচা মরিচ।অথচ সেই কাঁচা মরিচের দাম গেল সপ্তাহে অর্ধেকেরও নিচে ছিল।
আর এভাবে বাজারে অস্থিরতা চলতে থাকলে কোথায় গিয়ে কাঁদবে খেটে খাওয়া মানুষগুলো। উপজেলার নতুন বাজারে কথা হয় ক্রেতা শরীফ উদ্দিনের সাথে।তিনি জানান,বাজারে কাঁচা মরিচের দাম শুনলে কেনার সাধ মিটে যায়।আগে যেখানে ২৫ টাকার মরিচ কিনলে ২৫০ গ্রাম পেতাম,সেখানে এখন ১২৫ টাকা দিয়ে সেই পরিমান নিতে হচ্ছে। বাজারে সব থেকে এখন দামী পণ্য কাঁচা মরিচ।
পাশে দাঁড়ানো জামাল মিয়া বলেন,কাঁচা মরিচের দাম অনেক বেশি। প্রয়োজনে কাঁচা মরিচ ছাড়াই রান্না হবে।এতো দাম দিয়ে কাঁচা মরিচ কেনা আমাদের মতো নিম্ন আয়ের মানুষের পক্ষে সম্ভব নয়।
গৃহীনি শামসুন্নাহার বলেন,খুব কষ্ট হচ্ছে সংসার চালাতে।বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের যে দাম আসলে এভাবে কোন বাজার চলতে পারেনা।প্রশাসনের প্রতি সার্বক্ষনিক বাজার তদারকির অনুরোধ জানাই।
এদিকে খুচরা বিক্রেতারা বলছেন,বন্যায় বেশ ক্ষতি হওয়ায় পাইকারি বাজারে আমদানী কমেছে। আসলে আমরাতো নিজেরা দাম বাড়াইনি।যেমন দামে কিনি তেমন দাম বিক্রি করি।তবে আশাবাদী আগামী সপ্তাহে হয়তো দাম কমতে পারে।