কোটা আন্দোলন করায় শাবি শিক্ষার্থীকে হল থেকে নামিয়ে দিয়েছে ছাত্রলীগ
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের আন্দোলনে জড়িত থাকায় এক শিক্ষার্থীকে হলের সিট থেকে নামিয়ে দিয়েছে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ।
সোমবার (১৫ জুলাই) রাত সাড়ে ১২টায় শাবিপ্রবির শাহপরাণ হলে এ ঘটনা ঘটে বলে জানায় ভুক্তোভোগী শিক্ষার্থী আমিনুল ইসলাম।
তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষার্থী ও শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সজিবুর রহমানের অনুসারী বলে জানা যায়।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শিক্ষার্থী আমিনুল প্রথম থেকেই কোটা সংস্কারের আন্দোলনে সক্রিয় কর্মী। গতকাল সোমবার (১৫ জুলাই) মধ্যরাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ফেসবুক পেজে কোটা আন্দোলন যেসব ছাত্রলীগকর্মী বাঁধাপ্রদান করে তাদেরকে কটাক্ষ করে একটি পোস্ট দেন তিনি। এই পোস্টের প্রতিক্রিয়া স্বরূপ সজিবুর রহমানের গ্রুপের( আমিনুল যে গ্রুপে থাকে) বিভিন্ন কর্মী তাকে ফোন দিয়ে হল থেকে নেমে যেতে বলে জানায় ভুক্তভোগী আমিনুল।
ভুক্তভোগী আমিনুল বলেন, আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের সজীবুর রহমানের গ্রুপের শাহপরাণ ১১৯ নম্বর রুমে থাকি। আমি হলের ২৩২ নম্বর রুমের বৈধ শিক্ষার্থী। গ্রুপের নির্দেশে আমি ১১৯ নম্বর রুমে থাকতাম।
তিনি আরও বলেন, প্রথম থেকেই আমি কোটা আন্দোলনে এক্টিভ থাকি। কিন্তু একটা প্রয়োজনে আমি বাড়িতে আসি। গতকাল রাত ১২টার দিকে আরিয়ান( সাংগঠনিক সম্পাদক) ভাই আমাকে ফোন দিয়ে হল থেকে নেমে যেতে বলে এবং বলে যে, তোর বেডে একটা জুনিয়র উঠাই দিছি। এখন তুই কি করবি কর। তাই আমি বাধ্য হয়ে আমার বন্ধু-বান্ধব পাঠিয়ে রুম থেকে আসবাবপত্র সরিয়ে ফেলি। ঘটনার বিষয় হল প্রভোস্টকে ফোন দিয়ে জানিয়ে রেখেছি।
ঘটনার অভিযুক্ত সজিবের অনুসারী ও শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আরিয়ান বলেন, হল থেকে নামিয়ে দিয়েছি এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা। আমি তাকে (আমিনুল) ১১৯ নম্বর রুম থেকে ২৩২ রুমে শিফট করাই। এর বেশি কিছু আমি জানি না।
সার্বিক শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সজিবুর রহমানকে একাধিক বার কল দিলেও পাওয়া যায় নি।
ঘটনার বিষয়ে শাহপরাণ হল প্রভোস্ট স্থপতি ড. কৌশিক সাহা বলেন, এ বিষয়ে এখনো অফিসিয়ালি কোন অভিযোগ পায়নি। তবুও ঘটনা যদি সত্যি হয়, হল প্রশাসন যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।