ময়লার স্তুপে অযত্নে পড়ে আছে ৫ কোটি টাকায় নির্মিত মিনিবাস টার্মিনাল

বিয়ানীবাজার প্রতিনিধি
মন্ত্রণালয়ের আওতায় থাকা বিভিন্ন কার্যালয় থেকে সঠিক সহযোগিতা পাচ্ছি না সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলায় লাসাইতলায় নির্মিত বাস টার্মিলাল ২০২১ সালের ৮ জুন উদ্ভোধন হয় এই বাস টার্মিলালটি যা বিয়ানীবাজার পৌরসভার অর্থায়নে পৌর শহরে প্রায় পাঁচ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত পৌর বাস টার্মিনাল অবহেলা আর অযত্নে এবং সঠিক পরিকল্পনার অভাবে নষ্ট হচ্ছে। যেখানে গত পৌর পরিষদের আমলে নির্মিত দৃষ্টি নন্দিত এই বাস টার্মিনালটি বিয়ানীবাজারের যানজট সমস্যা সমাধানে বড় ভুমিকা রাখার কথা ছিল সেখানে অবহেলা আর অযত্নে পড়ে আছে।
যার কারনে প্রতিদিন যান যট এর কবলে পড়তে হয় সাধারণ মানুষদের ২০২১ সালের ৮ জুন মিনি বাস টার্মিনালটি উদ্বোধন করেন বর্তমান সংসদ সদস্য নুরুল ইসলাম নাহিদ। উদ্বোধনের পরে মাত্র একদিন এই বাস টার্মিনালটি থেকে বাস ছাড়লেও ধারাবাহিক হয়নি বিভিন্ন অজুহাত ও নানা কারনে। সময়ের পরিক্রমায় বিয়ানীবাজার পৌরসভার লাসাইতলায় অবস্থিত বাসটার্মিনালটি এখন শুধুই চোখের খোরাক মেটাচ্ছে ঘাস আর লতাপাতায় চারপাশ বিলুপ্ত এক বিচ্ছিন্ন জায়গায় পরিনত হচ্ছে।
জানা যায়, বাস টার্মিনালটি নির্মাণের পর একদিন বিয়ানীবাজার বাস চালকরা ব্যবহার করলেও পরে বিভিন্ন অজুহাতে এখানে আর আসতে রাজি হোননি। পৌর শহর থেকে অর্ধ কিলোমিটার দূরের অজুহাত সহ মধ্যবর্তী একটি ছোট ব্রিজ নিয়ে রয়েছে বাস চালকদের অভিযোগ যেখানে বাস নিয়ে ছোট সড়কে চলা এবং পার্কিংয়ে পোহাতে হয় বড় ধরনের ভোগান্তি। বিলাল আহমদ নামের এক পথ চারী অভিযোগ করে বলেন প্রতিদিন বাজার করতে আসা লাগে কিন্তু যান যট এর কারনে যে সময় মত যে বাড়ি যাবো তা আর হয় না পৌর কর্তৃপক্ষ যদি বাস টার্মিলাল টি নির্ধারিত জায়াগায় নিয়ে যায় তাহলে কিছুটা ভোগান্তি করবে, কিন্তু কে শুনে কার কথা কয়েক দিন পর ফুটপাত দখল মুক্ত হলে কিছুটা যান যট কমে কয়েকদিন যেতে না যেতে আবারো ফুটপাত দখল করে বসে হকার যার ফলে যান যট আরো ব্যপক আকার ধারন করে সরেজমিনে বিয়ানীবাজার পৌর শহরে নির্মিত বাস টার্মিনালটি ঘুরে দেখা যায় কয়েকবছর আগে নির্মাণ হলেও অবহেলা আর অযত্নে দেখলে মনে হবে পুরনো এক স্টেশন পড়ে আছে এখানে যার চারপাশে জঙ্গল।
এ বিষয়ে বিয়ানীবাজার পৌরসভার মেয়র ফারুকুল হক বলেন, আমরা পৌর মিনি বাস টার্মিনালটিতে চালকদের ফেরাতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। যেহেতু ব্রীজটি প্রকৌশলীর তাই আমরা বিকল্প একটি ব্রীজ নির্মাণের জন্য প্রকৌশলীকে জানিয়েছি। এছাড়াও বৈদ্যুতিক তারের জটিলতার একটা বিষয় আছে এরা কথা শুনে না। পৌরসভার উন্নয়নে সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন তবে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের আওতায় থাকা বিভিন্ন কার্যালয় থেকে সঠিক সহযোগিতা পাচ্ছি না