বিএনপি-জামায়াতের চলমান নৈরাজ্য প্রতিহত করার সিদ্ধান্ত
দৈনিকসিলেট ডেস্ক :
শনিবার (৩ আগস্ট) দুপুর ১২টায় সিলেট জেলা পরিষদ মিলনায়তনে কোটা আন্দোলনের নামে বিএনপি-জামায়াতের চলমান নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি সফলভাবে মোকাবেলা করতে করণীয় নির্ধারণে জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরী এমপি’র সভাপতিত্বে এবং মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মো. জাকির হোসেনের সঞ্চালনায় সভার শুরুতে কোটা সংস্কার আন্দোলনে নিহতদের স্মরণে ১ মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
সভার শুরুতেই কোটা আন্দোলনের নামে স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি বিএনপি-জামায়াতের চলমান নৈরাজ্য ও অগ্নীসন্ত্রাস এবং সরকার উৎখাতের যে ষড়যন্ত্র করছে তা তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এডভোকেট মোঃ নাসির উদ্দিন খান। তিনি তার বক্তব্যে বিএনপি-জামায়াতের চলমান নৈরাজ্য ও অগ্নীসন্ত্রাস এবং সরকার উৎখাতের যে ষড়যন্ত্রকে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করার আহ্বান জানান। তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ছাত্রদের সকল দাবি ইতিমধ্যে মেনে নিয়েছেন। কিন্তু তারপরও কেন এই আন্দোলন?
সভায় ১৪ দলের উপস্থিত নেতৃবৃন্দের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা জাসদ সভাপতি লোকমান আহমদ, জেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি কমরেড সিকান্দর আলী, জেলা গণতন্ত্রী পার্টির সভাপতি মো. আরিফ মিয়া, জেলা জাতীয় পার্টি (জেবি) এর সভাপতি ইফতেখার আহমদ লিমন, জেলা ন্যাপ সভাপতি মো. আব্দুল ওদুদ, মহানগর জাসদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ফারুক আহমদ, জেলা জাসদ সাধারণ সম্পাদক কিবরিয়া চৌধুরী, ন্যাপ মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক মো. আপ্তাব মিয়া, জেলা জাসদের সাধারণ সম্পাদক গিয়াস আহমদ, জেলা গণতন্ত্রী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মো. জুনেদুর রহমান, মহানগর গণতন্ত্রী পার্টির সাধারণ সম্পাদক শ্যামল কাপালী, সাধারণ সম্পাদক ব্রজ গোপাল চৌধুরী, জেলা গণতন্ত্রী পার্টির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গুলজার হোসেন, জেলা সাম্যবাদী দলের সদস্য শ্রী নিবাস চক্রবর্তী ও সজল রায়, ৩৭ নং ওয়ার্ডের গণতন্ত্রী পার্টির সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ মিহির দাস প্রমুখ।
বক্তব্যে ১৪ দলের নেতৃবৃন্দ বলেন, আমরা স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তিগুলো আজ বিভক্ত। আর এই বিভক্তির সুযোগ নিয়ে একাত্তরের পরাজিত শক্তি সাধারণ শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কারের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের উপর ভর করে দেশকে জঙ্গিবাদী রাষ্ট্র বানাতে চায়। এমনকি তারা একাত্তরের পরাজয়ের প্রতিশোধ নিতে এখন মরিয়া হয়ে উঠেছে। তাদের সেই হীন চক্রান্ত ১৪ দলের নেতৃবৃন্দ ঐক্যের মাধ্যমে প্রতিহত করতে সক্ষম রয়েছে।
সভাপতির বক্তব্যে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরী এমপি বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনের উপর ভর করে বাংলাদেশে যে ঘটনাগুলো ঘটছে, আসলে এটা কোনো রাজনৈতিক ঘটনা নয়। এটা সম্পূর্ণ জঙ্গিবাদী কাজ। দেশের স্বাধীনতা এবং মুক্তিযুদ্ধকে টার্গেট করে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে বিএনপি-জামায়াতের জঙ্গিবাদী আন্দোলন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে বিএনপি-জামায়াতের এই আন্দোলন ১৪ দল যে কোন মূল্যে প্রতিহত করা হবে।