বানিয়াচংয়ে থানায় আগুন, গুলিতে নিহত ৬
দৈনিকসিলেট ডেস্ক :
হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে আন্দোলনকারীদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে ৬ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্তত শতাধিক যুবক। এসময় আন্দোলনকারীরা বানিয়াচং থানা আগুনে পুড়িয়ে দেয়। সংঘর্ষের সময় পুলিশ টিয়ারশেল ও গুলি নিক্ষেপ করে। সোমবার দুপুরে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, দুপুরে হাজার হাজার আন্দোলনকারীরা মিছিল দিয়ে বানিয়াচং থানা ঘেরাও করে। এসময় পুলিশের সাথে আন্দোলনকারীদের কয়েক দফা সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে পুলিশ মুহুর্মুহু টিয়ারশেল ও গুলি নিক্ষেপ করে। এতে ৬ জন আন্দোলনকারী নিহত হন। এক পর্যায়ে আন্দোলনকারীদের আক্রমণে পুলিশ থানা ত্যাগ করে আত্মরক্ষা করে। সংঘর্ষের সময় বিক্ষুব্ধ আন্দোলকারীরা থানায় আগুন দেয়।
সংঘর্ষে গুরুতর আহতদের বানিয়াচং স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। এদিকে সংঘর্ষের সময় পুলিশের পক্ষ নিয়ে থানায় এসে ব্যক্তিগত বন্দুক দিয়ে আন্দোলনকারীদের উপর গুলিবর্ষণ করেছেন এমন অভিযোগে বিক্ষুব্ধ আন্দোলনকারীরা আওয়ামী লীগ নেতা ও ইউপি চেয়ারম্যান হায়দরুজ্জামন ধন মিয়ার বাড়িতে আগুন দেয় এবং তাকে থানায় অবরুদ্ধ করে রাখে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত থানা ঘেরাও করে রাখে হাজার হাজার আন্দোলনকারীরা।
সংঘর্ষে নিহতরা হলেন- বানিয়াচং সদরের যাত্রাপাশা গ্রামের খানু মিয়ার ছেলে হাসান মিয়া (১৩), মাইজের মহল্লা গ্রামের আব্দুর নুর মিয়ার ছেলে আশরাফুল (১৭), পাড়াগাও গ্রামের শমশের মিয়ার ছেলে মোজাক্কির (৪০), কামালখানি গ্রামের নয়ন (১৮), জাতুকর্ণপাড়া গ্রামের আব্দুর রউফের ছেলে তোফাজ্জল (১৮) ও পূর্বগড় গ্রামের ধলাই মিয়ার ছেলে সাদিকুর (৩০)।
হবিগঞ্জে আনন্দ মিছিল
শেখ হাসিনা সরকারের পদত্যাগের সাথে সাথেই হবিগঞ্জ শহরের বিভিন্ন পাড়া-মহল্লা থেকে আনন্দ মিছিল বের করে যুবকরা। এসব তারা শেখ হাসিনা বিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে নেচে গেয়ে উল্লাস করতে থাকেন। বিকেলে শহরের ইনাতাবাদ, শায়েস্তানগর, সার্কিট হাইসরোড, রাজনগর, বাণিজ্যিক এলাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় আনন্দমিছিল বের করা হয়। মিছিলে ছাত্র-যুবক ছাড়াও বিভিন্ন শ্রেণীপেশার লোকজন অংশগ্রহণ করেন।