দোয়ারাবাজার থানা পুলিশের কর্মবিরতি
দোয়ারাবাজার প্রতিনিধি
সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার থানা পুলিশের ১১ দফা দাবিতে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে কর্মবিরতি পালন করছে পুলিশ সদস্যরা।
বুধবার (৭ আগস্ট) দুপুরে দোয়ারাবাজার থানার সকল পুলিশ সদস্যরা ১১ দফা দাবি উপস্থাপন করেন।এসময় বিক্ষুব্ধ পুলিশ সদস্যরা নানা স্লোগান দিতে থাকেন। তাদের মূল দাবি, রাজনৈতিকভাবে তাদের যেন কেউ ব্যবহার করতে না পারে এবং সিনিয়রদের তাঁবেদারি না করা। গত কয়েক বছর ধরে পুলিশের কতিপয় ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার দলীয়করণের মাধ্যমে বাংলাদেশের মানুষের কাছে পুলিশের ভাবমূর্তি ব্যাপক ভাবে ক্ষুণ্ন হয়েছে। যার ফলে গত ৫ আগস্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করার পর থেকে সারা দেশের পুলিশ সদস্যদের উপর এবং পুলিশের প্রতিষ্ঠান সমূহের উপর নির্বিচারে হামলা চালানো হয়েছে।
১. বর্তমান বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যে সকল পুলিশসদস্য মৃত্যুবরণ করেছে তাদের বিচার না হওয়া পর্যন্ত পুলিশের কর্মবিরতি ঘোষণা।
২. পুলিশ কোন সরকারের অধীনে কাজ করবে না নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করে জনগণের সেবা করবে।
৩.পুলিশ কোন এমপি মন্ত্রী কে প্রোটোকল দিবে না।
৪.পুলিশ কোন সিনিয়র অফিসার কে প্রোটোকল দেবে না।
৫. পুলিশ ৮ ঘণ্টার বেশি ডিউটি করবে না।
৬.পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের যেভাবে দ্রুত পদোন্নতি পায় ঠিক সেইভাবে অধিনস্থ কর্মচারীরিকেও দ্রুত পদোন্নতির ব্যবস্থা করতে হবে।
৭.পুলিশের ২০ দিন ছুটি বৃদ্ধি করে ৬০ দিন করতে হবে।
৮. ঊর্ধ্বতন অফিসারের মত অধিনস্থ কর্মচারীদের ও সোর্স মানি দিতে হবে।
৯. পুলিশকে প্রত্যেক মাসে ১০ তারিখের মধ্যে টিএ বিল নিশ্চিত করতে হবে।
১০. পুলিশের ঝুঁকিবাতা বৃদ্ধি করতে হবে।
১১. প্রত্যেক পুলিশ সদস্যদের নিজ রেঞ্জে বদলি করতে হবে।
এসময় দোয়ারাবাজার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ বদরুল হাসান বলেন, নির্মমভাবে নিহত পুলিশ সদস্যদের হত্যার সুষ্ঠু বিচার, পুলিশ বাহিনী সংস্কার ও বৈষম্য দূরীকরণসহ সারা বাংলাদেশব্যাপী পুলিশ বাহিনীর ডাকা কর্মবিরতির অংশ হিসাবে সুনামগঞ্জ জেলার দোয়ারাবাজার থানার পুলিশের পক্ষ থেকে একাত্মতা পোষণ করে কর্মবিরতি ঘোষণা করলাম।