পদত্যাগ না করায় শাবির উপাচার্য, উপ-উপাচার্যের কার্যালয়ে তালা
শাবিপ্রবি সংবাদদাতা
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষ ও রেজিস্ট্রার কার্যালয়ে তালা এবং অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছ আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। এছাড়া ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. রাশেদ তালুকদার ও শিক্ষক সমিতির দায়িত্বশীলদের ক্যাম্পাসে আজীবনের জন্য অবাঞ্ছিত বলে ঘোষণা করেন তারা।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) সন্ধ্যায় সাড়ে ৭টায় এসব কার্যালয়ে তালা দেওয়া ও তাদেরকে অবাঞ্চিত ঘোষণা হয় বলে জানান সমন্বয়ক দলের সদস্যরা।
জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা আজ সন্ধ্যার পরে উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. কবির হোসেন চৌধুরী, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক আমিনা পারভীন এবং রেজিস্ট্রার কার্যালয়ে তালা দেন।
এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকল্পনা ও উন্নয়ন দপ্তর, কন্ট্রোলার দপ্তর, হিসাব দপ্তর ও কলেজ ইনস্পেকটর কার্যালয়ে তালা দিয়ে অফিস কার্যক্রম স্থগিত ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা। এসময় তারা উপাচার্যের সহকারীকেও আজীবনের জন্য ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন।
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা ও শিক্ষক সমিতির দায়িত্বশীলদেরকেও পদত্যাগের ২৪ ঘন্টার আলটিমেটাম দিয়েছিল তারা। কিন্তু তারা পদত্যাগ না করলেও তাদের কার্যালয়ে কোন তালা দেয়নি শিক্ষার্থীরা।
এরআগে,গতকাল ৭ আগস্ট উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষসহ প্রশাসনিক বডির সকলকে ২৪ ঘন্টার মধ্যে পদত্যাগের আল্টিমেটাম দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক টিম। না করলে তাদেরকে ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হবে বলে জানান তারা।
এদিকে শিক্ষার্থীদের আলটিমেটাম অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি ও আবাসিক হলগুলোর প্রভোস্ট বডির দায়িত্বরত শিক্ষকরা ইতিমধ্যে তাদের স্বপদ থেকে পদত্যাগ করেছেন। কিন্তু রাষ্ট্রীয় নির্দেশনা না আসা পর্যন্ত উপাচার্য, উপ-উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষ পদত্যাগ করবে না বলে জানা যায়।
সার্বিক বিষয়ে শাবিপ্রবি সমন্বয়ক দলের সদস্যর হাফিজুল ইসলাম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, প্রো-ভিসিসহ যারা আন্দোলনের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিল, তাদের আমরা পদত্যাগের জন্য ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম দিয়েছিলাম। যদি পদত্যাগ না করে আমরা তাদেরকে ক্যাম্পাস থেকে চিরজীবনের জন্য অবাঞ্ছিত করব বলে ঘোষণা দিয়েছি। কিন্তু তারা নির্লজ্জ প্রশাসনের অনেকেই এখনো পদত্যাগ করেনি। তাই ছাত্র সমাজ তাদেরকে আজ থেকে ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত এবং প্রশাসনিক ভবন ও রুমগুলোকে স্থগিত ঘোষণা করছি।
তিনি আরও বলেন, ছাত্রবান্ধব নতুন প্রশাসক নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত তা অব্যাহত থাকবে।