যে রোগ হলে চুল পড়ে যেতে পারে
অধ্যাপক ডা. এসএম বখতিয়ার কামাল
দেখা যায় অস্বাস্থ্যকর খাওয়ার অভ্যাস ও পরিবেশ দূষণ, চুলের প্রতি অযত্নের জন্য অনেকের চুল ফ্যাকাশে ও রুগ্ণ হয়ে থাকে। তাই স্বাস্থ্যের দিকে নজর দেয়ার পাশাপাশি চুলের স্বাস্থ্যের দিকেও নজর দেয়া প্রয়োজন। চুল পড়ার লক্ষণ অনেক সময়ই কোনো রোগে আক্রান্ত হওয়ার ইঙ্গিত দেয়। তাই চুল পড়ার সমস্যাকে একেবারেই হালকাভাবে নেয়া উচিত নয়। জেনে নিন, কোন কোন অসুখ শরীরে বাসা বাঁধলে অত্যধিক হারে চুল পড়তে শুরু করে।
থাইরয়েড
শরীরে থাইরয়েড রোগ বাসা বাঁধলে এমনটা হতে পারে। থাইরয়েড হরমোন আয়রন, ক্যালশিয়ামের মতো খনিজ শোষণ করে। এই খনিজগুলো চুলের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। হাইপোথাইরয়েডিজম এবং হাইপারথাইরয়েডিজম উভয় রোগের ক্ষেত্রেই রোগীর চুল ঝরতে শুরু করে।
অ্যালোপেসিয়া
যখন শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা চুলের ফলিক্ লগুলি আক্রমণ করে, তাকে বলা হয় অ্যালোপেসিয়া অ্যারেটা। মাথার তালু এবং মুখেই এই রোগের প্রভাব সবচেয়ে বেশি পড়ে। এ রোগে আক্রান্ত হলে মাথার তালুতে গোল গোল চাকতির মতো টাক হয়ে যায়।
এমনকি, ভ্রূর লোমও ঝরতে শুরু করে।
এক্সিমা এবং পোরিওসিস
প্রদাহজনিত এই দুই রোগের কারণে চুলকানি, র্যাশ হতে পারে। লাল ছোপ সারা মুখে ছড়িয়ে পড়ে। শুধু তাই নয়, এই দুই রোগের কারণেও চুলের ঘনত্বও কমে যেতে পারে।
পিসিওডি
অনেক মহিলাই পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোমের সমস্যায় ভোগেন। হরমোনের সাম্যতা বজায় না থাকার কারণেই মূলত এই সমস্যা হয়। এই রোগে আক্রান্ত হলে অত্যধিক চুল পড়া এবং চুল রুক্ষ, শুষ্ক, নিষ্প্রাণ হয়ে যাওয়ার মতো সমস্যাগুলো দেখা দেয়।
ক্যান্সারের জন্য
ক্যান্সারে আক্রান্ত হলে চুল পড়ে যেতে পারে। মূলত ক্যান্সার চিকিৎসার জন্য যারা কেমোথেরাপি নেন তাদের মাঝেই এই সমস্যাটি বেশি দেখা যায়।
চিরুনির যথার্থ ব্যবহার
এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যেহেতু চুল পরিপাটি করতে আমরা প্রতিদিনই চিরুনির ব্যবহার করে থাকি। কিনু্ত চিরুনিটি কি পরিষ্কার বা অন্য কেউ ব্যবহার করছে তা অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে।
লেখক: হেয়ার ট্রান্সপ্লান্ট সার্জন ও চিফ কনসালট্যান্ট কামাল হেয়ার অ্যান্ড স্কিন সেন্টার।