বিশ্বনাথে আমন আবাদে মাঠে মাঠে কৃষকদের ব্যস্ততা
সমুজ আহমদ সায়মন বিশ্বনাথ থেকে
সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলায় রোপা আমন আবাদে বিস্তৃর্ণ মাঠে মাঠে এখন সর্বত্র দেখা যাচ্ছে কৃষকদের ব্যস্ততা। সকাল-বিকেল পুরোদমে চলছে রোপা আমন ধান রোপনে মহোৎসব। প্রকৃতি থেকে প্রাপ্ত বৃষ্টির পানিতে আমন চাষাবাদে যেন দম ফেলার সুযোগ নেই চাষীদের।
পরিবারের সদস্যদের নিয়ে কেউ জমি তৈরি করছেন কেউ বীজতলা থেকে চারা সংগ্রহ ,কেউবা আবার রোপনে রয়েছেন সারাদিন। এ বছর আশানুরূপ বৃষ্টিপাত হওয়ায় আমন চাষাবাদে ভাল ফলনের আশাবাদী কৃষকরা।তবে শ্রমিকের বাড়তি মুজুরী নিয়ে চিন্তিত তারা।
সরেজমিন উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকায় কিছুটা গরু দিয়ে হাল চাষ করতে দেখা গেলেও অধিকাংশ কৃষক আধুনিক প্রযুক্তির ট্রাক্টর দিয়ে জমি চাষ করছেন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবং এ বছর উপুর্যুপরি বন্যায় আউশ আবাদের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে এবার উপজেলার সকল আবাদী অনাবাদি জমি চাষে কৃষকের এ ব্যস্ততা।অতিরিক্ত বৃষ্টিতে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ায় আশংকায়ও আছেন তারা।মাঠে খন্ড খন্ড জমিতে সারিবদ্ধভাবে শ্রমিকের চারা রোপনের শৈল্পিক এমন চিত্র মনে করিয়ে দিচ্ছে আবহমান গ্রাম বাংলার সেই চিরচেনা রূপের দৃশ্য।
কৃষক কাঁচা মিয়া বলেন,এ বছর ব্রি-আর ২২,ব্রি আর ৫৯ রোপন করতেছি।কোন প্রকার প্রাকৃতিক দুর্যোগ ছাড়াই বাম্পার ফলনের আশা করছি। তবে এ বছর শ্রমিকের মুজুরী গুনতে হচ্ছে বেশী।জাহেদ মিয়া বলেন,কয়েক কেদার জমিতে উচ্চ ফলনশীল ব্রি আর ২২ রোপন করছি। আরো কিছু জমিতে রোপন করতে কিছুটা বিলম্ব হতে পারে।কারণ জমিগুলো একটু নিচু।পানি রয়েছে। পানি কমলে সে জমিতে রোপন করবো।
উপজেলা কৃষি অফিস কর্তৃক জানা যায় এ বছর উপজেলায় ১৩ হাজার ২ শত ৩০ হেক্টর জমিতে আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। আমন ধান আবাদে জাতসমুহ ব্রিআর২২,বিনা-১১,ব্রি-৫২,ব্রি-৪৯,ব্রি-৯৫,ব্রি-৯০,ব্রি-১০৩।বিনা ধান ৭ বেশির ভাগ জমিতে চাষ করা হচ্ছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কনক চন্দ্র রায় বলেন,ইতিমধ্যে ৮% জমিতে ধান রোপন সম্ভব হয়েছে। স্বল্প জীবনকালের ধান ও নাবীজাতের ধান রোপনে কৃষকদের উৎসাহিত ও উদ্বুদ্ধ করা হয়েছে। লাইনে ধান রোপন,জৈব সার ব্যবহার,পরিমিত রাসায়নিক সার ব্যবহার ও অন্যান্য বিষয়ে পরামর্শ চলমান রয়েছে।