দোয়ারাবাজারে আগুনে ৬ দোকান পুড়ে দুই কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি
মো. সুমন আহমেদ, দোয়ারাবাজার প্রতিনিধি
সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার মঙ্গলপুর বাজারে ভয়াবহ আগুনে ছয়টি দোকান পুড়ে দুই কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে আশঙ্কা ব্যবসায়ীদের।
রবিবার (২৪ আগস্ট) রাত ১১টার দিকে উপজেলার মঙ্গলপুর বাজারে অগ্নিকাণ্ডের এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে আশেপাশের লোকজন এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হলেও ততক্ষণে সব কিছুই পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
আগুনে বাজারের বেশ ক্ষয়ক্ষতি হলেও, কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি, কিন্তু আগুনের সূত্রপাত জানা যায়নি।
ক্ষতিগ্রস্থ দোকানিরা হলেন, আল আমিন, নুরুল হক, ডাক্তার হামিদ, বদরুল ইসলাম, শামসুল ইসলাম,আব্দুল জব্বার।
ক্ষতিগ্রস্থ আল আমিন কান্না জড়িত কণ্ঠে জানান, আমি শেষ। আমার আর পুঁজি বলতে কিছুই রইল না। এই দোকানের কামাই রোজগার দিয়েই সংসার ও সন্তানের লেখাপাড়ার খরচ চালাতাম। এখন কি হবে আল্লাহ ভাল জানে।
বদরুল ইসলাম বলেন, আগুনে আমার দোকানের ক্যাশবাক্সে থাকা নগদ টাকা ও প্রায় ২০ লাখ টাকার মালামাল পুড়ে গেছে। আমি একেবারে নিঃস্ব হয়ে গেলাম। আগুন লাগার কারন জানতে চাইলে তিনি বলেনম গত কিছুদিন আগে রাতের আদারে বাজারে ৫টি দোকানের তালা কে বা কারা ভেঙেছে এবং মসজিদের দান বাক্স চোরি হয়েছে,এখন আগুন কেউ লাগিয়েছে বা কি করে লেগেছে সেই ধারনা আমাদের নেই।
এলাকাবাসীর অভিযোগ বাজার কমিটি ও পাহারাদার না থাকার কারণে প্রায়ই নানান অপকর্ম হয়, তারা আরো বলেন দোয়ারাবাজার উপজেলায় ফায়ার সার্ভিস থাকার পরেও যাতায়াত ব্যাবস্তার কারনে তাদের কাছ থেকে আমরা কোনো সাহায্য পাইনি।
পান্ডারগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল ওয়াহিদ বলেন, তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা না গেলেও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় দুই কোটি টাকা ছাড়িয়ে যেতে পারে। তিনি ব্যবসায়ীদের ঘুড়ে দাঁড়ানোর জন্য সরকারি ও বেসরকারী সহায়তা দাবি করেন।
দোয়ারাবাজার উপজেলা নির্বাহী অফিসার নেহের নিগার তনু বলেন, দোয়ারাবাজারের মঙ্গলপুর বাজারে এ ঘটনা ঘটে। শুরুতে স্থানীয়রা আগুন নেভানোর চেষ্টা করলেও পুড়ে যাওয়া দোকানগুলো টিনের বেড়ার হওয়ায় দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ে। আমরা ক্ষয়ক্ষতি লিস্ট করেছি উপজেলা প্রশাসন থেকে সাহায্য করা হবে।