জামালগঞ্জে ইউপি চেয়ারম্যান কামালের বিরুদ্ধে অনাস্থা ও বিক্ষোভ
জামালগঞ্জ প্রতিনিধি
কর্মস্থলে অনুপস্থিত ও ক্ষমতার অপব্যবহার এবং ঘুষ দূর্নীতিসহ নানা অনিয়মের অভিযোগে সুনামগঞ্জ জেলার জামালগঞ্জ উপজেলার সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান কামাল হোসেনের বিরুদ্ধে অনাস্থা জানিয়েছে ৯ ইউপি সদস্য।
রবিবার দুপুরে জামালগঞ্জ সদর ইউপি সদস্যরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে লিখিত এই অভিযোগ দায়ের করেন। এসময় তাঁরা চেয়ারম্যানের পদত্যাগের দাবিতে উপজেলা সদরে বিক্ষোভ মিছিল করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, জামালগঞ্জ সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. কামাল হোসেন উপজেলা কৃষকলীগের সহসভাপতির পদ থাকায় বিভিন্ন অনিয়মে জড়িয়ে পরেন। ইউনিয়ন পরিষদের সরকারি বরাদ্দ কোনো সদস্যকে না জানিয়ে পরিষদের সিদ্ধান্ত ছাড়াই চেয়ারম্যান তাঁর একক সিদ্ধান্তে কাজ করেন। তাছাড়া বিভিন্ন কর্মসূচীর কাজের টাকা শ্রমিকদের নিজেদের নামে মোবাইল সিমের মাধ্যমে পরিশোধ করার কথা থাকলেও নিয়ম বহির্ভূত জালিয়াতি করে নিজেই টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেছেন। ইউনিয়ন পরিষদের আওতাধীন দোকানপাটে ট্রেড লাইসেন্স বাবদ আদায়কৃত সমূদয় টাকা চেয়ারম্যানের নিজস্ব তহবিলে নিয়ে আত্মসাৎ করেন। জন্মনিবন্ধনের সরকারি ফি ৫০ টাকা ধার্য্য থাকা সত্বেও তার নিজস্ব ব্যাক্তিগত প্রতিনিধি নিয়োগ করে প্রতিটি জন্মনিবন্ধনে ৪শ থেকে ৫শ টাকা করে আদায় করেন। এব্যাপারে ইউনিয়ন পরিষদের সকল সদস্যদের নিয়ে সভা করতে বললে তিনি করি করছি বলে কালক্ষেপন করেন। বর্তমানে ভিজিডি, ভিজিএফ, টিউবওয়েল এবং প্রকল্পের কাজ ইউনিয়নের সকল ওয়ার্ডে সমন্বয় না করে স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে একক ভাবে তার নিজস্ব মনগড়াভাবে বন্টন করেন। সরকারি আয়ের উৎস হিসাবে বসত বাড়ি হইতে টেক্স আদায়ের বিষয়ে চেয়ারম্যানকে বললে তিনি বলেন, ঢাকায় আছি, ঢাকা থেকো এসে টেক্স আদায় করবো। সময়মতো টেক্স আদায় না হওয়ায় সরকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এছাড়াও তিনি দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে ২ বছরে অফিস করেছেন মাত্র ২০ থেকে ২৫ দিন।
এব্যাপারে জামালগঞ্জ সদর ইউপি চেয়ারম্যান মো কামাল হোসেনকে মুঠোফোনে জিজ্ঞাসা করলে তিনি জানান, আমার ব্যাপারে লিখিত আনা সকল অভিযোগ মিথ্যা। আমি অসুস্থ থাকার কারনে নিয়মিত অফিস করতে পারিনা। প্রতি সপ্তাহে আমার ডাক্তার দেখাতে হয়। তাদের অন্যায় আবদার না রাখার কারনে তারা প্রতিহিংসা পরায়ন হয়ে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগে বিষয়ে তদন্ত করে সত্যতা পেলে সংশ্লিষ্ট দপ্তর যে ব্যবস্থা নিবে আমি তা মেনে নিব।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুশফিকীন নূর জানান, আমি সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক স্যারের কার্যালয়ে মিটিংয়ে আছি। অভিযোগ হাতে পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।