যে ৫ লক্ষণে বুঝবেন প্রেমিকা স্বার্থপর!
দৈনিকসিলেট ডেস্ক :
স্বার্থপরতা রয়েছে সবার মাঝেই। কখনো কখনো স্বার্থপর হওয়া ছাড়া কোনো উপায় থাকে না আমাদের। ভালোবাসার সম্পর্ককে বাঁচিয়ে রাখতে চাইলে ত্যাগ করতে শিখতে হবে। কিন্তু আত্মকেন্দ্রিক, অবিবেচক ও স্বার্থপর আচরণটাই যদি আপনার কাছে স্বাভাবিক মনে হয়, তাহলে নিঃসন্দেহে তা চিন্তার বিষয়। অনেক নারীই স্বার্থপর ধরনের হয়। সম্পর্কে থাকার পরও শুধু নিজের ব্যাপারেই চিন্তা করেন। তাদের কাছে সঙ্গীর ভাবনার, তার ভালো-মন্দের কোনও দাম নেই। তাদের এই মানসিকতার কারণে সম্পর্কে প্রভাব পড়ে। তেমনই কিছু লক্ষণ সম্পর্কে আলোচনা রইলো এই প্রতিবেদনে।
কথা বলেন শোনেন না
আপনার মন-মেজাজ খারাপ, আপনি প্রেমিকার কাছে গিয়ে নিজের সব দুঃখের কথা বললেন, তিনিও মন দিয়ে শুনলেন এবং আপনাকে সান্ত্বনা দিলেন। ভালো কথা। কিন্তু তিনি যখন একইভাবে নিজের দুঃখের কথা বলতে আসেন, তখন আপনি কী করেন? আপনি কি বিরক্ত হয়ে যান? তাকে চুপ করিয়ে দেন? তাকে বলেন এসব চিন্তা না করতে?
আপনার সঙ্গী আপনার এই আচরণ মেনে নেন হয়তো, তার মানে এই নয় যে কাজটি ঠিক করছেন আপনি। সম্পর্কে দুজনের মাঝেই ভারসাম্য বজায় থাকা উচিত, একে অপরের মাঝে নির্ভরতার একটি জায়গা থাকা উচিত। আপনি তার ওপর নির্ভর করছেন অথচ তিনি আপনার ওপর নির্ভর করতে পারছেন না, কেন? কারণ আপনি স্বার্থপর।
স্বপ্ন নিজেকে নিয়ে
সম্পর্কে থাকলে আগামীর স্বপ্ন দেখতেই হবে। কীভাবে নিজেরা বন্ধনে জড়াবেন, কীভাবে একসঙ্গে থাকবেন– এসব বিষয়ে স্বপ্ন দেখা জরুরি। তবে কোনও নারী যদি খুবই স্বার্থপর হন, তাহলে তিনি এই বিষয়গুলোতে শুধু নিজেকে নিয়েই পরিকল্পনা করবেন। তার বিয়ের সাজ, তার বিয়ের কেনাকাটা, তার ভালো থাকা ইত্যাদি বিষয়গুলো নিয়ে তিনি সদা ব্যস্ত থাকবেন। আপনি একবারে দৃষ্টির বাইরে থাকবেন। আর এমন লক্ষণ দেখা দিলেই আপনাকে সম্পর্কের হাল ধরতে হবে। নইলে যে পরিস্থিতি একটা সময় হাতের বাইরে চলে যাবে।
চোখে চোখে রাখেন
প্রেম করছেন, তার মানে এই নয় যে দুজন শুধুই দুজনাকে সময় দেবেন। আপনার প্রেমিক বা প্রেমিকার নিজের একটা জীবন আছে, পরিবার আছে, আলাদা বন্ধুমহল আছে। আপনি তা মানতে পারেন না। আপনি আশা করেন তিনি সব জায়গায় আপনাকে নিয়ে যাবেন, আপনার সাথেই সময় কাটাবেন। এটা অবশ্যই স্বার্থপরতা। তাকে নিজের জীবন নিজের মতো করে বাঁচতে দিন।
আপনার বাবা-মা কেউ নন
প্রেমিকা কি আপনার বাবা-মাকে নিয়ে একবারেই চিন্তিত নন? বরং তার কাছে খুবই আপন নিজের বাবা-মা? তাদের নিয়েই তিনি সবসময় ব্যস্ত থাকেন? আপনি নিজের বাবা-মায়ের কথা বললে তিনি এড়িয়ে যান? তাহলে বুঝতে হবে সমস্যা রয়েছে অনেক গভীরে। তার মনের ভিতরে জড় হয়ে রয়েছে কোনও সমস্যা। তাই পরিস্থিতি খারাপ দিকে যাওয়ার আগেই আপনাকে সাবধান হতে হবে। অন্যথায় তার এই মানসিকতা আপনাকে পরবর্তী সময়ে খুব জ্বালাবে।
বারবার সম্পর্ক ভেঙে দেওয়ার হুমকি
দুজন মানুষে মিলে সম্পর্ক তৈরি হয়। কোনো বিষয়ে আপনি নিজের মনের মতো ফলাফল নাও পেতে পারেন। হয়তো আপনি চাইছেন ছুটিতে শহরের বাইরে বেড়াতে যাবেন প্রেমিক বা প্রেমিকাকে নিয়ে। তখন তিনি চাইছেন পরিবারকে সময় দিতে। এমন সময়ে আপনি কী করেন? নিজের মনের মতো কাজটা করতে না পারলে কি সম্পর্ক ভেঙে দেওয়ার হুমকি দেন? আপনি যদি আসলেই তাকে ভালোবাসেন তাহলে আপনি জানেন এমন হুমকি তাকে কতটা কষ্ট দিচ্ছে! এর পরেও নিজের ফায়দা হাসিল করতে এমন হুমকি দেওয়ার অর্থ আপনি স্পষ্টতই স্বার্থপর।