রেললাইনে আরামে ঘুমাচ্ছিলেন এক ব্যক্তি, সামনে এসে থামল ট্রেন
দৈনিকসিলেটডেস্ক
অনেকে কাজের চাপ বা মানসিক চাপে ভুগছেন। কোনোভাবেই ঘুম আসছে না। অথচ সে সেময় ঘুমটা খুব প্রয়োজন। কারণ, ঘুমালে আপনি সেই চাপ থেকে মানসিকভাবে কিছুক্ষণের জন্য হলেও মুক্তি পাবেন। আবার নিজেকে কিছুটা চাঙাও মনে হবে। আর যদি হয় ভাতঘুম, তাহলে তো কথাই নেই। কিন্তু সেই ঘুম হতে পারে বিছানায়, হতে পারে চেয়ারে বসেই বা গাছের ছায়ায়, সড়কের ধারে। তাই বলে রেললাইন নয় নিশ্চয়। কিন্তু এমনই এক ঘটনা ঘটেছে ভারতে।
উত্তর প্রদেশ রাজ্যের প্রয়াগরাজ শহরের রেললাইনের মাঝখানে ছাতামাথায় শুয়ে ঘুমিয়ে পড়েন এক ব্যক্তি। এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে ছড়িয়ে পড়ে। গতকাল পোস্ট করা সেই ভিডিওতে দেখা যায়, একটি ট্রেনের চালক লোকটিকে রেললাইনে দেখতে পেয়ে ট্রেন থামান। এরপর তিনি চালকের আসন থেকে নেমে হেঁটে তাঁর কাছে গিয়ে লাইন থেকে সরে যেতে অনুরোধ করেন। তবে ঘটনাটি কবের, তা প্রতিবেদনে উল্লেখ নেই।
উল্লেখ্য, ওই ব্যক্তি আত্মহত্যার উদ্দেশ্যে সেখানে ছিলেন না। সেখানে ঘুমানোটা তাঁর কাছে বেশ আরামদায়ক মনে হয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে পোস্ট করা ওই ভিডিও প্রায় আট লাখ বার দেখা হয়েছে। এর নিচে অনেকে বিভিন্ন মন্তব্যও করেছেন। একজন লিখেছেন—‘পাগল’। একজন লিখেছেন ওই ব্যক্তি ‘মদ্যপ অবস্থায়’ ছিলেন। আরেকজন বিষয়টির গুরুতর তদন্ত করে যথাযথ রেল নিরাপত্তা বাস্তবায়নের আহ্বান জানান। আরেকজন মজা করে লিখেছেন, ওই ব্যক্তি আসলে ‘নিজের জীবনটাকে ট্র্যাকে ফেরাতে চেষ্টা’ করেছেন।
শুধু চলতি বছরেই ভারতজুড়ে অনেকগুলো রেল দুর্ঘটনার ঘটনা ঘটে। রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব বলেছিলেন, ‘ট্র্যাকে পরে থাকা বস্তুর কারণে’ চলতি মাসে কানপুরের কাছে একটি সবরমতী এক্সপ্রেস ট্রেনটি লাইনচ্যুত হয়েছিল।
উল্লেখযোগ্য আরেকটি ঘটনা হলো, গুলজার শেইখ নামের একজন ইউটিউবার প্রচার পেতে এবং ভারতীয় রেলওয়ে ও যাত্রীদের নিরাপত্তাকে ঝুঁকির মুখে ফেলতে রেললাইনে বিভিন্ন জিনিস ফেলে রাখতেন। পরে রেলওয়ে প্রটেকশন ফোর্স (আরপিএফ) তাঁকে উত্তর প্রদেশ রাজ্যের খানদ্রোলি গ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করে।