বিশ্বনাথ কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ নুমান আহমেদের দায়িত্ব হস্তান্তর
বিশ্বনাথ প্রতিনিধি
শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসীর আন্দোলনের চাপে বিশ্বনাথ উপজেলার সুনামধন্য বিদ্যাপিঠ বিশ্বনাথ দারুল উলুম ইসলামিয়া কামিল (এম.এ) মাদ্রাসার বর্তমান অধ্যক্ষ মোহাম্মদ নুমান আহমদ পদত্যাগ না করে দায়িত্ব হস্তান্তর করেছেন।
মাদ্রাসা অধ্যক্ষ নুমানের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগে তাঁর পদত্যাগের দাবী জানিয়ে মাদ্রাসা পড়ুয়া ও এলাকাবাসী আজ ২৭ আগস্ট সকাল ১০ ঘটিকা থেকে মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ মিছিল অবস্থান কর্মসূচি পালন করতে শুরু করে। এসময় তারা এক দফা এক দাবী উল্লেখ করে অধ্যক্ষের পদত্যাগ চান।
শিক্ষার্থীদের দাবী বাস্তবায়নে উত্তপ্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এগিয়ে আসেন জনপ্রতিনিধি এলাকাবাসী এবং প্রশাসন। অধ্যক্ষ এসময় উপস্থিত না থাকায় কয়েকজন প্রতিনিধি তাঁর সাথে দেখা করতে যান। পরিস্থিতি সামাল দিতে তার সাথে কথা বলেন। এসময় মাদ্রাসার অফিসিয়াল প্যাডে তিনি আজকের তারিখ উল্লেখ করে মাদ্রাসা শিক্ষক মাওলানা নাজিম উদ্দীনের কাছে অধ্যক্ষের দায়িত্ব হস্তান্তর করেন লিখে স্বাক্ষর করেন। উক্ত স্বাক্ষর পত্র নিয়ে প্রতিনিধিরা ফিরে এসে ছাত্র ছাত্রী ও এলাকাবাসীকে অধ্যক্ষ পদত্যাগ করেছেন বলে বক্তব্য রাখেন। এতে তাৎক্ষণিক ছাত্র ছাত্রীদের মধ্যে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হলে তিনি পদত্যাগ করেছেন এবং ১৭ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি করা হয়েছে বলে বক্তব্য রাখেন সাংবাদিক মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম জুবায়ের ও বিশ্বনাথ সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাজি দয়াল উদ্দিন তালুকদার। তারা বক্তব্যে বলেন ১৭ সদস্য কমিটির মাধ্যমে আগামী ২ দিনের মধ্যে পরবর্তী করণীয় স্থির করে মাদ্রাসার যাবতীয় কর্মকাণ্ড স্থিতিশীল রাখবেন। আগামী বৃহস্পতিবার সকাল ১০ ঘটিকায় সভা আহবান করা হয়েছে। আন্দোলনকারী ও কমিটির সদস্যরা মাদ্রাসা পরিচালনার বিষয়ে কি কি প্রদক্ষেপ গ্রহণ করা যায় তা নির্ণয় করবেন তারা। এরপর আন্দোলনকারীরা বিকেলে মাদ্রাসা প্রাঙ্গণ ত্যাগ করে যার যার গন্তব্যে চলো যায়।
অধ্যক্ষ পদত্যাগের ঘোষণা দেওয়ার সময় উপস্থিত ছিলেন ৫ নং দৌলতপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাফিজ আরব খান, বিশ্বনাথ প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি কাজি জামাল উদ্দিন, সালিশ ব্যাক্তিত্ব মোঃ রুস্তম বেগ সহ ছাত্র ছাত্রী, শিক্ষক, অভিভাবক সেনা সদস্য ও প্রশাসনের অন্যান্যা কর্মকর্তা।
উল্লেখ্যঃ ইতিমধ্যে পদত্যাগ না করে দায়িত্ব হস্তান্তরের স্বাক্ষরিত পত্রটি স্যোসাল মিডিয়া সহ বিভিন্ন যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ায় নানান জল্পনা কল্পনার সৃষ্টি হয়েছে। অনেকেই বলছেন মাদ্রাসা অধ্যক্ষ প্রতারণার আশ্রয় নিয়েছেন। কারণ হিসেবে বলছেন, ছাত্র ছাত্রীরা তার পদত্যাগ চেয়ে আন্দোলন করছে, তিনি পদত্যাগ লিখে স্বাক্ষর করবেন। তিনি কেন দায়িত্ব হস্তান্তর লিখবেন? এনিয়ে পুনরায় পরিস্থিতি উত্তপ্ত হতে পারে বলে ধারনা করা হচ্ছে।