বিয়ানীবাজারে ৩ হত্যা মামলায় আসামী যারা
বিয়ানীবাজার প্রতিনিধি
সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ও বিয়ানীবাজার-গোলাপগঞ্জ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য নুরুল ইসলাম নাহিদের বিরুদ্ধে পৃথক দু’টি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। সোমবার (২৬ আগস্ট) বিয়ানীবাজার থানায় এ দু’টি মামলা দায়ের করা হয়। নিজ নির্বাচনী এলাকার দুই থানায় নাহিদ মোট ৫টি হত্যা মামলার আসামী হলেন।
সোমবার পৃথক মামলা দু’টি রেকর্ড করে বিয়ানীবাজার থানা পুলিশ।
পুলিশ সূত্র জানায়, গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের দিন বিকেলে নিহত ময়নুল ইসলামের (৪২) স্ত্রী শিরিন বেগম একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। দায়েরকৃত মামলায় (নং-০৭ (০৮) ২০২৪) নুরুল ইসলাম নাহিদ (৮৪), সিলেট জেলা পরিষদের সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান এডভোকেট নাসির উদ্দিন খান (৫৫), বিয়ানীবাজার উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আতাউর রহমান খান (৭০), জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এডভোকেট আব্বাস উদ্দিন (৫০), উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক ও সদ্য সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আবুল কাশেম পল্লব (৫০), বিয়ানীবাজার উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি জুয়েল আহমদ (২৭), উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি সালেহ আহমদ বাবুল (৭০) ও আশরাফুল ইসলাম (৬৫), সাধারণ সম্পাদক দেওয়ান মাকসুদুল ইসলাম আউয়াল (৫৫), সাংগঠনিক সম্পাদক জামাল হোসেন (৫৫), কোনাগ্রামের আবদুল মুমিন সাব্বির (২৬), নিদনপুরের সাইদুল ইসলাম (৪০), জলঢুপ পাতিটিকরের রিফাতুল করিম রাজা (২৪), উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ দিপু (৫৫), সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুদ হোসেন খাঁন (৫৩), সদস্য শ্রীধরা গ্রামের নোমান আহমদ (৬০), সুপাতলার কামাল হোসেন (২৭), খাসার সানী আহমদ (২৯), কসবার কামরান হোসেন (৩৩), নিজ বাহাদুরপুরের বদরুল আলম উজ্জ্বল (৩৫), সুপাতলার সুমন আহমদ বিমল চন্দ (৪৫), আষ্টগড়ির নাহিদ আহমদ চৌধুরী শাহিদ (৩০), সুপাতলার রেদোয়ান আহমদ (২৭), শ্রীধরার বখতিয়ার সালাউদ্দিন (২৫), দাসগ্রামের রুমেল আহমদ মুন্না (২৬), দক্ষিণ ফতেহপুরের (দাসগ্রাম) ফাহিম আহমদ (২৫), শ্রীধরার সাকিব মাহমুদ (২৪) ও ঘুঙ্গাদিয়ার সাহাব উদ্দিন (৩৫)।
একইদিন অপর নিহত রায়হান উদ্দিনের (১৮) বড় ভাই বোরহান উদ্দিন বাদী হয়ে আরেকটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। দায়েরকৃত মামলায় (নং-০৮ (০৮) ২০২৪) সাবেক সাংসদ নুরুল ইসলাম নাহিদ, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট নাসির উদ্দিন খান, বিয়ানীবাজার উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আতাউর রহমান খান, জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্বাস উদ্দিন, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক ও সদ্য সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আবুল কাশেম পল্লব, সাংগঠনিক সম্পাদক জামাল হোসেন, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবাদ হোসেন. উপজেলা আওয়ামী লীগ সদস্য সাইদুল ইসলাম, দেবাশীষ চক্রবর্তী, কাউছার আহমদ, আশীষ চক্রবর্তী, যুবলীগ নেতা সুমন আহমদ, মহসিন আহমদ সাজিদ, সাকিল আহমদ, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি আজাদ জিসান, কলিম উদ্দিন, ওয়াহিদুর রহমান টিপু, কামরুল হাসান সুমন, মারুফ আহমদ, আলী হোসেন, নাহিয়ান সাদাত খান অনি, ফয়জুর রহমান, জামিল আহমদ, মিজানুর রহমান, বদরুল আলম উজ্জল, ইমন আহমদ, সুমন আহমদ, ইমরান হোসেন ইমন, রুমেল আহমদ, মুরাদ খান ও সাইফুল ইসলাম রোকনকে আসামী করা হয়েছে।
এ তথ্য নিশ্চিত করে বিয়ানীবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অকিল উদ্দিন আহম্মদ বলেন, আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশ তৎপর রয়েছে।
এদিকে সরকার পতন পরবর্তী ৫ আগস্টের পর প্রথম মামলা দায়ের করেন কটুখালিপার গ্রামের ইনারুন নেসা। তিনি নিহত তারেক আহমদ’র মা। ২০ আগস্ট এ মামলা (৪নং মামলা-২০/০৮/২৪) দায়ের করেন নিহত তারেক আহমদের মাতা ইনারুন নেছা। মামলায় এজাহার নামীয় ৭৫জনসহ অজ্ঞাত আরো ১৫০-২০০ জনকে আাসামী করা হয়েছে।
থানায় দায়ের করা এজাহারের আসামীদের সবাই বিয়ানীবাজার উপজেলা, পৌরসভা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মী ও আওয়ামী লীগ রাজনীতির সমর্থক রয়েছেন। এজাহারে প্রথম আসামী বিয়ানীবাজার উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের তৃতীয় যুগ্ম সম্পাদক আবুল কাশেম পল্লব, দ্বিতীয় ও তৃতীয় আসামী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আতাউর রহমান খান ও সাধারণ সম্পাদক দেওয়ান মাকসুদুল ইসলাম আউয়ালকে আসামী করা হয়েছে। এ মামলায় স্থানীয় ৫ সাংবাদিককে আসামী করা হয়। তবে সাংবাদিকদের আসামী করার ঘটনার নিন্দা জানিয়েছে বিয়ানীবাজার প্রেসক্লাব।বিয়ানীবাজারে ৩ হত্যা মামলায় আসামী যারা