জামায়াতে ভিন্ন ধর্মের মানুষকে যুক্ত করা নিয়ে যা বললেন আমির
দৈনিকসিলেটডেস্ক
জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, ইসলাম ধর্মের বাইরে ভিন্ন ধর্মাবলম্বীরা চাইলে তাদের দলে যুক্ত হতে পারবেন। এটা আগেও ছিল, ভবিষ্যতেও সেই পথ খোলা রয়েছে। বেসরকারি টেলিভিশনে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন তিনি।
এক প্রশ্নের জবাবে জামায়াত আমির বলেন, ‘অন্য ধর্মের নাগরিকদের জামায়াতে ইসলামীতে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার প্রভিশন (বিধান বা ব্যবস্থা) আছে। এক সময় বিপুল সংখ্যক অন্য ধর্মের নাগরিকরা আমাদের সংগঠনে ছিলেন, এই সংগঠনের প্রাথমিক সদস্য। তারা ইচ্ছা করলে আরও আগাতে পারেন। কিন্তু আমাদের বিরুদ্ধে অব্যাহত ষড়যন্ত্র, অপপ্রচারের মাধ্যমে মানুষদের ভীত-সন্ত্রস্ত করে রাখা হয়েছিল।’
জামায়াতের এই নেতা বলেন, ‘এবার আমরা বিভিন্ন জায়গায় যাচ্ছি, আমি মনে করি না আমাদের খুশি করার জন্য মানুষ বিভিন্ন কথা বলবে। অনেকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে বলেছে, আমরা আপনাদের সঙ্গে কাজ করব। কারণ আমরা আপনাদের কাছে নিরাপত্তা পেয়েছি। যেটা অন্যদের কাছে পাইনি। আমরা কিন্তু তাদের আমাদের কাছে টানার জন্য এই কাজটা করিনি। আমরা কিন্তু আমাদের বিবেক ও নাগরিক দায়িত্ব থেকে এই কাজটা করেছি।’
জামায়াতে নারী কর্মীদের বিষয়ে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ, আমাদের সংগঠনে যত নারী রয়েছেন, আমার মনে হয় না অন্য কোনো সংগঠনে এত নারী আছেন। আমাদের সংগঠনে নারীদের অনুপাতটা হলো ৪২ শতাংশ। অন্যকোনো সংগঠনে এত আছে কি না আমি বলতে পারব না। তারা বলতে পারবে স্ব স্ব সংগঠন। আমরা নারীদের অবশ্যই মূল্যায়ন করি। এ জন্য সংসদে নারী কোটায় এমপি হওয়ার প্রভিশন আছে। যদি আমরা মূল্যায়ন না করতাম তাহলে সংসদে প্রভিশন দিতাম না।’
তিনি আরও বলেন, ‘অতীতে যতগুলো গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হয়েছে এবং জামায়াতে ইসলামী অংশগ্রহণ করেছে—সব জাগায় কিন্তু আমাদের নারী সংসদ সদস্যরা ছিলেন। রাষ্ট্রের বিভিন্ন জায়গায় তারা গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন। কারণ তারা এই সমাজের মানুষ। আমরা সবাই মিলেই তো এই সমাজটাকে আগাব।’
জামায়াত আমির বলেন, ‘ইসলাম নারীদেরকে রানীর মর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত করেছে। ইনশাআল্লাহ আমাদের আদর্শ, এটা আল্লাহর দান আদর্শ। এটা যদি কায়েম হয় তাহলে এই নারীরা গর্ববোধ করবে এই রাষ্ট্রের নাগরিক হিসেবে।’