প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সরকারি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো: এরশাদ আলী
দৈনিকসিলেট ডেস্ক :
গত ২৩ আগস্ট দৈনিকসিলেটের ডাক পত্রিকায় ৪নং পৃষ্ঠায় “ঢাকা দক্ষিণ সরকারি কলেজের অধ্যক্ষের পদত্যাগ দাবি” শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। যা সম্পূর্ণ উদ্দেশ্য প্রণোদিত, মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। উক্ত সংবাদে “কলেজে সন্ত্রাস ও নাশকতা প্রতিরোধে সভা” করার ঘটনায় অধ্যক্ষের পদত্যাগ দাবী করা হয়।সংবাদ প্রতিবেদনে আমি নিম্ন স্বাক্ষরকারী মো: এরশাদ আলী,ঢাকা দক্ষিণ সরকারি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ এর সুনাম ক্ষুণ্ণ হয়েছে।এব্যাপারে নিম্নে আমার বক্তব্য তুলে ধরছি:
১. প্রকৃত পক্ষে ২৯ জুলাই ২০২৪ উপজেলা সভাকক্ষে উক্ত শিরোনামে বিভিন্ন কলেজের অধ্যক্ষ ও ইউনিয়নের চেয়ারম্যানগন, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার, গোলাপগঞ্জ থানার ওসি সহ আরো বিভিন্ন ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। উক্ত সভায় কলেজে শিক্ষক ও অভিভাবক নিয়ে সভা করাব সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এটি আমার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্তে হয়নি।প্রকাশিত সংবাদের স্বাক্ষরকারী অনেকে ২০১৩, ২০১৮,২০২৪ সালের নির্বাচনে প্রিসাইডিং অফিসারের দায়িত্ব পালন করেছেন এবং নিজ নিজ এলাকায় নৌকার প্রার্থীদের পক্ষে প্রচারণা চালিয়েছেন যা সরকারি চাকুরীজীবি হিসেবে অপরাধ।
২. আমি সভা আহবান করিনি। বস্তুত আমার অনুমতি ব্যতীত সেক্রেটারী সভা আহবান করেছেন যার প্রমাণ হোয়াটসএপ মেসেজে আছে। আওয়ামীলীগের শাসন আমলে ১৬ আগস্ট ২০১৭ সালে কয়েকজন শিক্ষকের যোগসাজশে শোকদিবসে আলোচনা সভায় বঙ্গবন্ধুকে কটূক্তি শিরোনামে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি ছাপানো হয়েছিল। তাদেরকে আমার শাসানোর সাহস নেই।
৩.আমি কোন অনিয়ম করিনি। অডিট কমিটির রিপোর্টে যাদের আর্থিক অনিয়ম ধরা পড়েছে( কারণ দর্শানো নোটিশ প্রাপ্তির যোগ্য) তারা ভিত্তিহীন,তদন্ত রিপোর্টবিহীন অনিয়মের সংবাদ প্রকাশ করে আমার মানহানি করেছেন।
৪. বিভাগীয় প্রধানগণ নিজেদের কাছে রক্ষিত চেকে স্বাক্ষর করে ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলন অধ্যক্ষকে দায়ী করা ভিত্তিীহীন।
৫) একাদশ শ্রেণির ছাত্রছাত্রীদের নবীণবরণে খরচের জন্য এইচ এস সি ক্লাবের উদ্যোগে ১০০ টাকা করে ক্লাব ফি উত্তোলন করে ভর্তি কমিটির কাছে রসিদ প্রদান করেন।
৬. আমি অধ্যক্ষ ভারপ্রাপ্ত হিসেবে সংশ্লিষ্ট কমিটির চাহিদা পত্র এবং প্রত্যয়নপত্র ব্যতীত কোন বিলে স্বাক্ষর করিনি।