মাহবুব আলীসহ ৩ জনের দুর্নীতির অনুসন্ধান শুরু
দৈনিকসিলেট ডেস্ক
সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সাবেক মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী ও খুলনা-৬ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আকতারুজ্জামান বাবু
সাবেক মন্ত্রী, এমপিসহ তিনজনের দুর্নীতির অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তারা হলেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সাবেক মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী ও খুলনা-৬ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আকতারুজ্জামান বাবু।
বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) দুদকের উপপরিচালক (জনসংযোগ) আকতারুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
আকতারুল ইসলাম জানান, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সাবেক মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদের বিরুদ্ধে নিয়োগ-বাণিজ্য, ভুয়া রোগী সাজিয়ে সরকারি অনুদানের অর্থ হাতিয়ে নেওয়া, করোনাকালে প্রশিক্ষণ না করিয়ে বিল উত্তোলন, কাজ না করেই টিআর, কাবিখার মতো বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের অর্থ আত্মসাতের গুরুতর অভিযোগ রয়েছে।
এ ছাড়া তার মায়ের নামে ‘করিমপুর নূরজাহান-সামসুন্নাহার মা ও শিশু বিশেষায়িত হাসপাতাল’ নির্মাণ ও ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে তিনি নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির আশ্রয় নিয়েছেন। ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় নিজের নামে, স্ত্রী ও পরিবারের নামে কোটি কোটি টাকার সম্পদ রয়েছে। বিদেশেও বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদের তথ্য পেয়েছে দুদকের গোয়েন্দা ইউনিট।
সাবেক প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে নিজের নামে, স্ত্রী ও পরিবারের নামে কোটি কোটি টাকার সম্পদের মালিক হয়েছেন। তার আত্মীয়স্বজনদের সমন্বয়ে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে এলাকায় প্রভাব বিস্তার করে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন। বিদেশেও বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ রয়েছে বলে তথ্য পেয়েছে দুদকের গোয়েন্দা ইউনিট।
এ ছাড়া খুলনা-৬ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মো. আকতারুজ্জামান বাবুর বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে বিভিন্ন দুর্নীতি ও অনৈতিক কার্যক্রমসহ নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। একজন সংসদ সদস্য হয়েও স্থানীয় সরকার বিভাগ, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরসহ বিভিন্ন দপ্তরে নিজ নামে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জামান এন্টারপ্রাইজের নামে সরকারি কাজ করে দেশের আইন লঙ্ঘন করেছেন। রাজধানীসহ বিভিন্ন জায়গায় বাড়ি, ফ্ল্যাট ক্রয়সহ স্ত্রী ও সন্তানদের নামে কোটি কোটি টাকার সম্পদের তথ্য অর্জন করেছেন। বিদেশে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদের তথ্য পাওয়া গেছে।
গোয়েন্দা ইউনিটের দেওয়া তথ্য-উপাত্ত ও সুপারিশের ভিত্তিতে নুরুজ্জামান, মাহবুব আলী ও আকতারুজ্জামানের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেয় কমিশন। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ইতোমধ্যে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুদকের বিশেষ অনুসন্ধান টিম।