বিলে সাদা শাপলার সমারোহ
দৈনিকসিলেট ডেস্ক :
নীলফামারীর কিশোরগঞ্জের রনচন্ডী ইউনিয়নে অবস্থিত বাফলা গ্রাম। ১৩ কিলোমিটারের ৩৫০ বিঘা খাস জমির ওপর এই বিল।
এ বিলের নাম গ্রামের নামে নামকরণ করা হয়েছে ‘বাফলার বিল’। বর্তমানে এই বিলের পানিতে ফুটেছে অসংখ্য সাদা শাপলা ফুল। দৃষ্টিনন্দন এই শাপলার সমারোহ দেখতে প্রতিদিন বিলপাড়ে ভিড় করছেন মানুষ।
বাফলার বিলের এই সাদা শাপলা মানুষকে মুগ্ধ করছে। বেড়াতে আসা লোকজন সেলফি তুলছেন। গ্রামীণ জনপদে এই বিলের সৌন্দর্য উপভোগ করতে ভ্রমণপিপাসু মানুষের ভিড় বেড়েই চলেছে। স্থানীয় প্রশাসন বিলটি নিয়ে কিছু করা যায় কিনা ভাবছে।
এলাকার সাংবাদিক শামীম হোসেন জানান, এ বিলে বর্ষা মৌসুমে মাছ শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করেন কয়েকশ মানুষ। ঐতিহ্যবাহী এ বাফলার বিল শীত মৌসুমে অতিথি পাখিতে ভরে যায়। আবার গ্রীষ্ম মৌসুমে পানি শুকিয়ে গেলে স্থানীয়রা বোরো আবাদ করেন।
তিনি বলেন, পর্যটনের ব্যাপক সম্ভাবনা থাকায় সরকারি সহায়তা পেলে বিলটি পর্যটন স্থান হিসেবে গড়ে উঠবে।
বিলের পাড়ে ঘুরতে আসা নীলফামারীর কলেজ ছাত্রী আনজুমান আরা বলেন, কিশোরগঞ্জে আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে এসেছি। এসে শুনলাম বাফলার বিলে অনেক সাদা শাপলা ফুল ফুটেছে। তাই এসেছি এখানে। মনোরম পরিবেশ। ভালোই লাগছে।
সৈয়দপুর থেকে আসা নওশাদ আনসারী বলেন, দারুণ একটি জায়গা। প্রকৃতির সান্নিধ্যে একেবারে হারিয়ে যাওয়া যায়। অনেক সেলফি তুলেছি।
রনচন্ডী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোকলেছুর রহমান বলেন, ঐতিহ্যবাহী বাফলার বিল। এখানে সৌন্দর্য যেন অপরূপ মহিমা প্রকাশ করে। স্থানীয়রা এ বিলে মাছ শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করেন। শীতের সময়ে এখানে অতিথি পাখিদের কোলাহলে মুখরিত হয়ে যায়। আর এখন শাপলা ফুলে বিলটির সৌন্দর্য আরও বেড়ে গেছে। বিলে স্থানীয়দের নৌকা আছে, কেউ ঘুরতে চায়লে মাঝিরা নৌকায় ঘোরায়। প্রত্যেকদিন কমবেশি অনেক মানুষ এখানে ঘুরতে আসে। সরকারিভাবে বিলটিকে পর্যটনের উপযোগী করা দরকার এটিতে পর্যটনের অপার সম্ভাবনা রয়েছে।
এখানকার সাদা শাপলার মনোমুগ্ধকর সৌন্দর্য মন কেড়েছে ভ্রমণ পিপাসুদের। অনেকেই ফুলের সঙ্গে ছবি ফ্রেমবন্দি করতে ছুটে আসছেন।
এ বিষয়ে কিশোরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মৌসুমি হক বলেন, বিলটির সৌন্দর্য রক্ষায় কী কী পদক্ষেপ নেওয়া যায় আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে সেটি করার চেষ্টা করবো। আমি নতুন এসেছি। এখানকার মানুষের জন্য কাজ করবো অবশ্যই।