যাদুকাটা নদীতে ৮টি মেশিন, ৪টি বাল্কহেড জব্দ: আটক ৭

সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার যাদুকাটা নদীর পাড় কাটার সাথে জড়িত থাকা এক যুবকের ৬ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক।

এছাড়া পুলিশ, বিজিবি ও আনসার ব্যাটেলিয়নের যৌথ অভিযানে ৭ জন আটক, ৮টি শিভ মেশিন ও ৪টি বাল্কহেড জব্দ করা হয়।

শনিবার দুপুরে উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়নের যাদুকাটা নদীতে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।

প্রশাসন সুত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে যাদুকাটা নদীর তীর কেটে ঘাগটিয়া গ্রামের চিহ্নিত বালুখেকো চক্র ও এই সিন্ডিকেটের সদস্যরা কোটি কোটি টাকার বালু বিক্রি করছে। এরই ধারাবাহিকতায় নদীর তীর কেটে বালু বিক্রি করছে এমন সংবাদ পেয়ে পুলিশ,বিজিবি ও আনসার ব্যাটেলিয়নের যৌথ এ অভিযান শুরু হয়।

এসময় যাদুকাটা নদীর পাড় কাটার সাথে জড়িত থাকা এবং শিভ মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করার অপরাধে বালু মহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন,২০১০ আইনে একজন কে ৬ মাসের কারাদণ্ড প্রদান করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

অভিযানে জেলা প্রশাসনের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ মহিবুল্লাহ, উপজেলা নির্বাহী অফিসার সালমা পারভীন, তাহিরপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শামস সাদাত মাহমুদ উল্লাহ,ওসি তদন্ত কাওসার আহমেদ,এসআই কালাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

স্থানীয় এলাকাবাসী অভিযোগ করে জানান, স্থানীয় প্রভাবশালী ও সাংবাদিক নামধারী একটি সংঘবদ্ধ সিন্ডিকেট দীর্ঘদিন ধরে যাদুকাটা নদীর পাড়ের জায়গা ক্রয় করে। পড়ে পাড় কেটে বালু বিক্রি করছে। তারা এও বলে আমাদের যাওগা থেকে বালু নিলে কেউই ধরবে না।

এছাড়াও স্থানীয় কয়েকজন সাংবাদিক রয়েছে এর সাথে জড়িত। তাদের নামে প্রতি ফুটে ২ টাকা করে চাঁদা উত্তোলন করছে কয়েকজন ব্যক্তি। তারা নদীর পাড়ে বসেই পাড় কেটে বালু বিক্রি করছে। আর পুলিশ বা প্রশাসনের কেউ আসলেই খবর পেয়ে তারা ঘা ঢাকা দেয়। এরাও চিহ্নিত কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়না। আমরা প্রতিবাদ করলেই মামলা হামলার শিকার হই।

তাহিরপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মাইনুদ্দিন আটকের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন জানান, আটককৃতদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়েছে। যাদুকাটা নদীর পাড় কেটে বালু বিক্রি চক্রের মুল হোতাদের কোনো ছাড় দেয়া হবে না। তাদেরকেও আইনের আওতায় আনা হবে।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন