বড়লেখায় নিরীহ পরিবারকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানীর অভিযোগ
বিয়ানীবাজার প্রতিনিধি
বড়লেখা উপজেলার বর্ণি ইউনিয়নের সৎপুর গ্রামের মৃত আব্দুল হাই এর পত্রবধু কর্তৃক একই উপজেলার ৫নং দক্ষিণ শাহবাজপুর ইউনিয়নের আব্দুল কাদিরের মেয়ে ফরিদা আক্তার মান্না শশুরালয়ের স্বামী, শাশুড়ী, ভাসুর ও ২ ননদকে আসামী করে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত বড়লেখায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলা নং সিআর ৮০/২০২৩।
এ ব্যাপারে ক্যাম্প কমান্ডার, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, বড়লেখা জোনের কাছে মিথ্যা মামলায় হয়রানীর শিকার পরিবারটি হত্যা মামলার আসামী, মামলাবাজ, পরকিয়ায় আসক্ত উক্ত মহিলার হাত থেকে পরিত্রান পাওয়ার আবেদন করেছেন।
হয়রানীর শিকার পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযুক্ত ফরিদা আক্তার মান্নার ভাসুর আবেদনে উল্লেখ করেন, সে দীর্ঘ দিন যাবত আমাদের পরিবারের সকল সদস্যদের মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করে আসছে। আমার ভাই একজন প্রবাসী। প্রবাস থেকে ২০১৮ সালে ৬ মাসের ছুটি নিয়া আসে বিবাহ করে ছুটি শেষে চলে যায়। আমার ভাইয়ের স্ত্রী ‘ফরিদা আক্তার মান্না’ ২০২০ সালের মার্চ মাসে করোনা কালীন সময়ে সে এক মাসের জন্য নাইয়র যায়। কিন্তু নাইয়র শেষে পরকীয়ায় আসক্ত হয়ে আর শশুরালয়ে ফিরে আসেনি। আমাদের বাড়ীতে থাকাকালীন আমার ভাইয়ের দেয়া টাকা পয়সা ও ৪ ভরি সোনা নিয়ে কুক্ষিগত করে এবং আমার ভাইকে তার শশুর বাড়ী থাকার জন্য বলে। আমার ভাই এতে অস্বীকৃতি জানালে আমার ভাইয়ের স্ত্রী ‘ফরিদা আক্তার মান্না’ নানা টাল বাহানা করে শশুর বাড়ী আসে না সে বাপের বাড়ী স্বামীকে নিয়ে থাকতে চায় বলে আমার ভাইয়ের কাছে জানায়। আমার ভাই সেটা সম্ভব নয় বললে সে বলে তাহলে তুমি তুমার পথে আমি আমার পথে । আমরা ৩/৪ বার তাদের বাড়ী সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান প্রার্থী শামীম উদ্দিন সহ গ্রামের আরো গণ্যমাণ্য ব্যক্তিবর্গকে নিয়ে তাকে আনতে গেলে সে আসতে অপারগতা প্রকাশ করে। পরস্পর জানতে পারি তার পরপরুষের সাথে পরকীয়া রয়েছে। তদুপরি স্বামীর বাড়ী আসার জন্য আমরা ১৯/০১/২০২৩ ইং একটি লিগ্যাল নোটিশ ফরিদা আক্তার মান্না কে প্রেরণ করি। কিন্তু তাতেও সে কোন কর্ণপাত করেনি। অত:পর সে আমার বৃদ্ধ অসুস্থ মা এবং আমরা ভাই বোন সহ ৫ জনকে আসামী করে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত বড়লেখায় ২০১৮ ইং সনের যৌতুক নিরোধ আইনের ৩ ধারায় একটি মামলা করে।
আমার ভাইয়ের একটি মেয়ে আছে যাহার অনুমান বয়স ৪ বছর (জন্ম তারিখ ০৫/০৩/২০২০)। আমার ভাতিজি কে তাহার বাপ-চাচা, দাদী- ফুফু সহ পরিবারের কাছ থেকে ঐ ডাইনী মহিলা আলাদা করে রেখেছে। সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত বড়লেখায় মামলা নং সি আর ৮০/২০২৩ সে উল্লেখ করে আমার ভাই শালিস গণের কাছে বলেছেন ৩ লক্ষ টাকা দিলে তাকে ঘরে নিবে। এটা সম্পুর্ণ মিথ্যা বানোয়াট ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত। প্রয়োজনে হেলাল প্রফেসর, আওয়ামীলীগ নেতা ইয়াসীন আলী, আব্দুল জলিলও তাদের ওয়ার্ড মেম্বার গং শালিসগণের স্বাক্ষ্য নিলে এরকম কোন আলাপ হয়েছে কিনা সব সত্য বেরিয়ে আসবে। ইতিপূর্বে ২০২১ সালে পরকীয়ার কারনে সে আমার ভাই গৌছ উদ্দিনের ঘরে না থাকার ইচ্ছা প্রকাশ সহ আদালতে মামলা করে পুলিশ সাথে নিয়ে তার পিত্রালয় থেকে দেয়া আসবাবপত্র নিয়ে যায়। তখন সে এ সংক্রান্ত একটি মামলা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত বড়লেখায় করে মামলা নং ২৩১/২০২১ তাং ০৬/১০/২০২১ইং
এছাড়া ‘ফরিদা আক্তার মান্না’ তার ভাইয়ের (মাতাব উদ্দিনের স্ত্রী) ভাবীকে শাহবাজপুর চরগ্রামের মজুনু মিয়ার মেয়ে পারুল আক্তার ছাদিয়া কে দীর্ঘ দিন যাবত নির্যাতন করে হারপিক খাইয়ে হত্যার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা রয়েছে। ‘ফরিদা আক্তার মান্না’ তার পিত্রালয়ে যাওয়ার পর ৩ বাচ্ছা থাকাকালীন আরেক ভাইর স্ত্রীকে (ভাবী) নির্যাতন করে ঘর- বাড়ী ছাড়া করে।
অভিযোগে আরো উল্লেখ করা হয় , উক্ত মহিলার বিরুদ্ধে আরো অনেক অভিযোগ রয়েছে। তার বড়লেখার প্রভাবশালী আওয়ামীলীগ নেতা, ও মামলাবাজ দালাল সহ বিভিন্ন মহলের সাথে আতাত রয়েছে। এদের মাধ্যমে আমাদের একটি নীরিহ পরিবারকে এসব হয়রানী করছে। ভোক্তভোগী পরিবার এর প্রতিকার চান।
এ ব্যাপারে ফরিদা আক্তার মান্নার সাথে মুঠোফনে আলাপ করে মিথ্যা ও হয়রানীমুলক মামলা বিষয়ে জানতে চাইলে মামলার বিবরণে যৌতুক বিষয়ে তিনি যা উল্লেখ করেন তার কথাবার্তার সাথে গড়মিল পাওয়া যায়। মিথ্যা মামলার কথা স্বীকার না করে তিনি উকিল ও মরীরের সাথে আলাপ করার জন্য বলেন।