দুরুদ শরিফের উচ্চারণ, অর্থ ও ফজিলত
দৈনিকসিলেট ডেস্ক :
রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর নামে দুরুদ পড়া মুমিনের আত্মার খোরাক। দুরুদ মুমিনের আত্মাকে প্রশান্ত করে। দুরুদ পাঠের দ্বারা আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের সন্তুষ্টি অর্জন করা যায়। পবিত্র কোরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘আল্লাহ নবির প্রতি অনুগ্রহ করেন, তাঁর ফেরেশতারা নবির জন্য অনুগ্রহ প্রার্থনা করে। হে মুমিনরা, তোমরাও নবির জন্য অনুগ্রহ প্রার্থনা করো এবং যথাযথ শ্রদ্ধাভরে সালাম জানাও।’ (সুরা আহজাব, আয়াত: ৫৬)
দুরুদে ইবরাহিমের আরবি উচ্চারণ
আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা মুহাম্মাদিও ওয়া আলা আলি মুহাম্মাদ, কামা সাল্লাইতা আলা ইবরাহিমা ওয়া আলা আলি ইবরাহিম, ইন্নাকা হামিদুম মাজিদ। আল্লাহুম্মা বারিক আলা মুহাম্মাদিও ওয়া আলা আলি মুহাম্মাদ, কামা বারকতা আলা ইবরাহিমা ওয়া আলা আলি ইবরাহিম, ইন্নাকা হামিদুম মাজিদ।
দুরুদে ইবরাহিমের বাংলা অর্থ
হে আল্লাহ, আপনি আমাদের নবি মুহাম্মাদ (সা.) ও তাঁর পরিজনের প্রতি রহমত বর্ষণ করুন, যেভাবে বর্ষণ করেছেন ইবরাহিম আ. ও তার পরিজনের প্রতি, নিশ্চয়ই আপনি প্রশংসিত ও সম্মানিত। হে আল্লাহ, আপনি বরকত নাজিল করুন, আমাদের নবি মুহাম্মাদ (সা.) ও তাঁর পরিজনের প্রতি যেভাবে আপনি বরকত নাজিল করেছেন ইবরাহিম (আ.) ও তাঁর পরিজনের প্রতি, নিশ্চয়ই আপনি প্রশংসিত ও সম্মানিত।
দুরুদ শরিফ পড়ার ফজিলত
নবির প্রতি দুরুদ পাঠ নবির সঙ্গে মানুষের সম্পর্ক উন্নয়ন করে। পরস্পরের মধ্যে ভালোবাসা বাড়ে। বেশি বেশি দুরুদ পাঠে শাফয়াত পাওয়া যাবে রোজ হাশরে। বিপদ থেকে মুক্তি, দোয়া কবুল হওয়া, গোনাহ থেকে বেঁচে থাকা ও স্মরণশক্তি বৃদ্ধিতে দুরুদ পাঠ বেশ সহায়ক। এ ছাড়াও প্রতিবার দরুদ পাঠে আল্লাহ বান্দার ওপর দশটি রহমত নাজিল করেন। আবদুল্লাহ ইবনে আমর ইবনুল আস (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি আল্লাহর রাসুল (সা.)-কে বলতে শুনেছেন, যে আমার ওপর একবার দরুদ পড়বে, বিনিময়ে আল্লাহতায়ালা তার ওপর দশটি রহমত নাজিল করবেন।’ (মুসলিম, হাদিস: ১/১৬৬)
আনাস (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে আমার ওপর একবার দুরুদ পড়বে আল্লাহ তার ওপর দশটি রহমত নাজিল করবেন, তার দশটি গুনাহ ক্ষমা করা হবে এবং দশটি দরজা উঁচু হবে। (নাসায়ি, হাদিস: ১/১৪৫)