কঙ্গোতে মার্কিন ও ব্রিটিশ নাগরিকসহ ৩৭ জনের মৃত্যুদণ্ড
দৈনিকসিলেট ডেস্ক :
মধ্য আফ্রিকার দেশ ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গোর (ডি আর কঙ্গো) প্রেসিডেন্ট ফেলিক্স টিশিসেকেদিকে হত্যা ও ক্ষমতাচ্যুত করার চেষ্টার দায়ে ৩৭ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। দণ্ডাদেশ প্রাপ্তদের মধ্যে ৩১ জন কঙ্গোর, তিনজন যুক্তরাষ্ট্রের, একজন যুক্তরাজ্যের, একজন বেলজিয়ামের এবং একজন কানাডার নাগরিক।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি বছরের ১৯ মে ডি আর কঙ্গোর বিরোধী নেতা ক্রিশ্চিয়ান মালাঙ্গার নেতৃত্বে অভ্যুত্থান প্রচেষ্টার সময় এক হামলায় ছয়জন নিহত হয়েছিলেন। দেশটির প্রেসিডেন্ট ফেলিক্স শিসেকেদির ঘনিষ্ঠ সহযোগীকে লক্ষ্য করে ওই হামলা করা হয়। এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ৩৭ জনের মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেওয়া হলো।
অভ্যুত্থান প্রচেষ্টার সময় নিরাপত্তা বাহিনী ও সেনা সদস্যদের গুলিতে ঘটনাস্থলেই নিহত হন মালাঙ্গা। এ ঘটনায় সংশ্লিষ্টতার সন্দেহে মোট ৫১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিলো। এরপর দেশটির সামরিক আদালতে প্রায় সাড়ে তিন মাস বিচার চলার পর শুক্রবার ৩৭ জনকে ফাঁসি এবং বাকি ১৪ জনকে বেকসুর খালাস দেয় আদালত।
মৃত্যুদণ্ডাদেশ প্রাপ্তদের মধ্যে ক্রিস্টিয়ান মালাঙ্গার ছেলে মার্সেল মালাঙ্গাও (২০) রয়েছেন।
মার্সেল মালাঙ্গা অবশ্য বিচারের সময় বলেছিলেন, তিনি বাধ্য হয়ে ওই হামলায় অংশ নিয়েছিলেন; কারণ তার বাবা ক্রিস্টিয়ান তাকে হুমকি দিয়েছিলেন যে হামলায় অংশ না নিলে তিনি মার্সেলকে হত্যা করবেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা যদি চান তাহলে আগামী পাঁচদিনের মধ্যে রায় বাতিল চেয়ে উচ্চ আদালতে আপিল করতে পারবেন।
কঙ্গোতে মৃত্যুদণ্ড নিষিদ্ধ নয়। তবে দেশটির বিচার ব্যবস্থা মৃত্যুদণ্ডকে সবসময় নিরুৎসাহিত করে। প্রায় দু’দশক পর এই প্রথম মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করলো কঙ্গোর কোনো আদালত।