জোড়া খুনের মামলায় হবিগঞ্জের সাবেক মেয়র সেলিম গ্রেফতার
নুর উদ্দিন সুমন, হবিগঞ্জ
বৈষম্যবিরোধী ছাত্রজনতার আন্দোলকালে হবিগঞ্জ পৌর এলাকায় রিপন শীল ও মোস্তাক আহমেদ হত্যা মামলার অন্যতম আসামি হবিগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র জেলা আওয়ামিলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. আতাউর রহমান সেলিম (৫৪) র্যাবের হাতে ঢাকায় গ্রেপ্তার ।
মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাজধানী ধানমন্ডি থানা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-২ ও র্যাব-৯ এর যৌথ আভিযানিক দল।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুনিম ফেরদৌস।
এরআগে গত ২১ আগস্ট হবিগঞ্জে মোস্তাক আহমেদ (২৫) হত্যার ঘটনায় হবিগঞ্জ-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আবু জাহির ও সেলিম সহ ১১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা রুজু হয়। এর পর থেকে আতাউর রহমান সেলিম পলাতক ছিলেন।মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, ২ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা জুমার নামাজের পর হবিগঞ্জে শহরের কোর্ট মসজিদের সামনে অবস্থান নেন। পরে তারা শহরে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। এ সময় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা হামলা করলে মোস্তাক আহমেদ গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হন। পরে তাকে হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত মোস্তাক আহমেদ সিলেটের জালালাবাদ থানার টুকের বাজার এলাকার আবদুল কাদিরের ছেলে। তিনি হবিগঞ্জে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের একটি প্রকল্পে শ্রমিকের কাজ করতেন। অপরদিকে ১৫ আগস্ট হবিগঞ্জ সদর মডেল থানায় ছাত্র আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হয়ে রিপন শীল (২৭) নামে আরেকজন মারা যান। এ মামলায়ও সেলিমসহ ৫৯ জনের নামে মামলা করা হয়।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ৪ আগস্ট দুপুরে হবিগঞ্জ শহরে বিক্ষোভও মিছিল বের করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে শহরের প্রধান সড়ক দিয়ে জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী হামলা চালান এবং আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে গুলি করেন। এ সময় রিপন শীল বুকের ডান পাশে গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হন। পরে তাকে হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।