শাল্লায় প্রাথমিক সহকারি শিক্ষকদের মানববন্ধন
নিশিকান্ত সরকার, শাল্লা প্রতিনিধি
দশম গ্রেড আমাদের দাবী নয়, আমাদের অধিকার এই প্রতিপাদ্য বিষয়কে সামনে রেখে সুনামগঞ্জের শাল্লায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষকদের সমন্বয়ে ১২তম গ্রেডকে প্রত্যাখ্যান করে ১০ গ্রেডে পদোন্নতি করার মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) বেলা ১২টায় শাল্লা উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের আয়োজনে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
তাজপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সালাম মিয়ার সভাপতিত্ত্বে ও বাহাড়া মধ্যের হাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা চম্পা রানী তালুকদারের সঞ্চালনায়, মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো: আব্দুস সালাম বলেন, শিক্ষার মূল ভিত্তি হচ্ছে প্রাইমারি লেভেল। এই শিক্ষকদের প্রতি সরকারের দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা অবশ্যই সুদৃষ্টি দিতে হবে। আমরা সরকারি চাকরিজীবী হয়ে দাবী নিয়ে রাস্তায় দাঁড়ানো মানায় না, তারপরেও বাধ্য হয়েছি। পূর্ববর্তী সরকারের আমলে শিক্ষকদের অধিকার গুলো ক্ষুন্ন করা হয়েছিল, অনেক লাঞ্ছনা ও বঞ্চনার শিকার হতে হয়েছে। এখন বিশ্বাস করি বর্তমান বৈষম্যহীম সরকার শিক্ষকদের বেদনা ও যন্ত্রণা অনুধাবন করে তাদের যৌক্তিক দাবী কান পেতে শুনবে৷ সরকারের অন্যান্য ডিপার্টমেন্টে সমপরিমাণ যোগ্যতা নিয়ে কর্মরতদের সাথে তুলনা করলে প্রাথমিক শিক্ষার সাথে অনেকটা ব্যবধান রয়েছে। আমি শিক্ষকদের যৌক্তিক দাবীর সাথে একাত্মতা পোষন করে ষ্পষ্ট ও দ্যর্থহীন কন্ঠে বলতে চাই, বৈষম্যহীন বাংলাদেশে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের ১০ গ্রেডে পদোন্নতি করে তাদের জীবনমান উন্নতি সহ শিক্ষায় আকর্ষণীয় পরিবেশ সৃষ্টি করুন। সহকারী শিক্ষকদের এই দাবী অবশ্যই যৌক্তিক এবং বাংলাদেশের অন্তবর্তীকালীন সরকারকে নিকট অনুরোধ শিক্ষার মানোন্নয়নে সারাদেশে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী সাড়ে ৪ লক্ষ শিক্ষকদের দাবী মেনে নিন মানতে হবে।
মানববন্ধনে অন্যান্যদের মধ্যে আরো বক্তব্য রাখেন, প্রতাপপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুব্রত কুমার দাশ, মির্জাকান্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক রাজন ব্রত, লক্ষীপাশা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা দিপ্তী রাণী বৈষ্ণব, গোবিন্দপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক বসুদেব দাশ, মনুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক রফিকুল ইসলাম, মির্জাকান্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক তাজুল ইসলাম, শীমেরকান্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক কবির হোসেন প্রমুখ।
মানববন্ধনে আরো উপস্থিত ছিলেন শাল্লা উপজেলার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শতাধিক শিক্ষক ও শিক্ষিকা।