ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে জলমহাল দখলের অভিযোগের প্রতিবাদে মানববন্ধন
জামালগঞ্জ প্রতিনিধি
সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলায় এক ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে জলমহাল দখলের অভিযোগ উঠেছে। প্রতিবাদে ভুক্তভোগী মৎস্যজীবিরা সাচনা বাজারে মানববন্ধন করেছেন। এছাড়াও সুষ্ঠু তদন্ত করে জলমহালটি দখলদারদের হাত থেকে উদ্ধার করে তাদেরকে ফিরিয়ে দিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় মানববন্ধন করে এই ক্ষোভ প্রকাশ করেন ভুক্তভোগী মৎস্যজীবি পরিবারগুলো।
এ নিয়ে এলাকায় বেশ চাঞ্চল্যকর সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়াও ওই চেয়ারম্যান উপজেলা যুবদল আহ্বায়ক কমিটির যুগ্ন আহ্বায়ক বলে জানা গেছে।
জানাযায়, ওই চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে তার বাহিনীর হুমকির ভয়ে ইজারাদার যুবরাজ দাস বর্তমানে বাড়ি ছাড়া রয়েছে। এবং তার পরিবার ভয়, শঙ্কা আর আতঙ্কের ভেতর মানবেতর জীবন কাটাচ্ছে। মানববন্ধনে গোপালপুর মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি লিমিটেডের সাধারণ সম্পাদক যুবরাজ দাস বলেন, আমরা প্রকৃত কার্ডধারী মৎস্যজীবি পরিবার। আমরা মাছ ধরেই জীবন জীবিকা নির্বাহ করে থাকি। গত ১৪২৬ বাংলা থেকে ১৪৩১ বাংলা সন পর্যন্ত সরকার বাহাদুরকে খাজনা দিয়ে জলমহালটি স্কিমে ইজারা নিয়েছি। গত ৫ বছর ঠিকমতো মাছ আহরণ করতে পারলেও এবার সাচনা বাজার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাসুক মিয়া তার বাহিনী নিয়ে আমাদের বিল দখল করে নিয়েছে। এ পর্যন্ত প্রায় ১০ লাখ টাকার মাছ আহরণ করেছে। এছাড়াও আমাদেরকে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে।
সমিতির সভাপতি সচিন্দ্র দাস বলেন, এটা আমাদের শেষ বছর। আমরা মাছ ধরতে বিলে গেলে আমরারে হুমকি দেয়। আমরারে মাইরা বস্তাত ভইরা নদীতে ফালাইয়া দিবো। বর্তমানে ফারুক ও তার ভাইসহ ১৫/২০ জন লোক জাল দিয়া মাছ ধরতেছে। আমরা নিষেধ করলে তারা বলে মাসুক চেয়ারম্যানের কাছে যাও, আমরা কিছু বলতে পারবো না। মাসুক চেয়ারম্যানের কাছে গেলে সে আমাদের পাত্তা দেয়না। এই অবস্থায় আমরা আমাদের জীবনের নিরাপত্তা ও আমাদের জলমহালটি ফেরত চাই।
এদিকে ভুক্তভোগীরা থানায় অভিযোগ করেও কোনো বিচার পাননি বলেও দাবি করে বলেন, গত সপ্তাহে তারা একটি অভিযোগ থানায় দায়ের করতে গেলে জামালগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ তাদেরকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অথবা কোর্টে যেতে বলেন।
এব্যাপারে৷ অভিযুক্ত সাচনা বাজার ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো মাসুক মিয়ার কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, আমাকে রাজনৈতিক ভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য এগুলো করা হচ্ছে। আমার বিরুদ্ধে আনা সকল অভিযোগ মিথ্যা এবং বানোয়াট।
এব্যাপারে জামালগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুশফিকীন নূর জানান, জলমহালের একটি অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।