সাবেক এমপির ছেলের শ্বশুরবাড়ি থেকে কোটি টাকাসহ গ্রেফতার ৩
দৈনিকসিলেট ডেস্ক :
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উত্তরা পশ্চিম থানা পুলিশ ও সেনাবাহিনীর যৌথ অভিযানে উত্তরার একটি বাড়ি থেকে নগদ এক কোটি ১৬ লাখ ৪৫ হাজার ৫০০ টাকা ও বৈদেশিক মুদ্রাসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ সময় দুটি প্রাইভেটকার জব্দ করা হয়। যে বাড়িতে অভিযান চালানো হয়, সেটি পলাতক সাবেক সংসদ সদস্য মোহাম্মদ হাবিব হাসানের ছেলে আবির হাসান তামিমের শ্বশুর বাড়ি।
সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) ডিএমপির গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের উপকমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমানের পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
গ্রেপ্তাররা হলেন-শাহজাদা খান সাজ্জাদ, মো. তৌজিদুল ইসলাম ও মো.সাইফুল ইসলাম। গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে রোববার সেনাবাহিনী ও উত্তরা পশ্চিম থানার একটি যৌথ টিম ওই বাসায় স্থানীয় সাক্ষীসহ প্রবেশ করে। সেখানে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ টাকা ও বৈদেশিক মুদ্রাসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার আসামিদের বরাতে এ কর্মকর্তা জানান, জব্দ করা টাকা, বৈদেশিক মুদ্রা ও গাড়ি দুটি সাবেক সংসদ সদস্য মোহাম্মদ হাবিব হাসান ও তার পরিবারের সদস্যদের। জব্দ করা বুলেটপ্রুফ জ্যাকেটগুলো ব্যবহার করতেন পলাতক সাবেক সংসদ সদস্য হাবিব হাসান ও তার ছেলে পলাতক আবির হাসান তামিম।
গোপন তথ্য ছিল, উত্তরা ৭ নম্বর সেক্টরের ২৩ নম্বর রোডের একটি বাড়িতে বিপুল পরিমাণ অর্থ ও অস্ত্র মজুদ রয়েছে। সে তথ্যের ভিত্তিতে রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) সেনাবাহিনী ও উত্তরা পশ্চিম থানার যৌথ টিম অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে বিপুল পরিমাণ টাকা, বৈদেশিক মুদ্রা ও গাড়িসহ তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়।
অভিযানে গ্রেফতারকৃতদের কাছ থেকে নগদ ১ কোটি ১৬ লাখ ৪৫ হাজার ৫০০ টাকা ও বিভিন্ন দেশের বৈদেশিক মুদ্রা উদ্ধার করা হয়। এর মধ্যে ছিল ৬৫টি একশো ডলারের নোট, ৪১টি ১ হাজার থাই বাথের নোট, ২০টি পাঁচশ দিরহামের নোটসহ বিভিন্ন দেশের মুদ্রা। এ ছাড়া তিনটি বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট উদ্ধার করা হয়, যেগুলোর সামনে ও পেছনে ইংরেজিতে ‘পুলিশ’ লেখা ছিল। অভিযানে দুটি প্রাইভেটকারও (ল্যান্ড ক্রুজার ও হ্যারিয়ার) জব্দ করা হয়।
অভিযোগ রয়েছে, বুলেটপ্রুফ জ্যাকেটগুলো ৫ আগস্টের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ব্যবহৃত হয়েছিল বলে জানা যায়। অভিযুক্তরা দাবি করেন, উদ্ধারকৃত টাকা, মুদ্রা এবং গাড়ি সাবেক সংসদ সদস্য মোহাম্মদ হাবিব হাসান ও তার পরিবারের সদস্যদের।