বাংলাদেশ ছাড়া আমার কোনো ঠিকানা নেই : তারেক রহমান
দৈনিকসিলেট ডেস্ক :
ঐতিহাসিক কিশোরগঞ্জ স্টেডিয়ামে এক জনসভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, বাংলাদেশই আমার ঠিকানা। এর বাইরে আমার কোনো ঠিকানা নেই। আমি অচিরেই আমার প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশে ফিরে আসব ইনশাআল্লাহ। গতকাল সোমবার বিকালে এ জনসভা আয়োজন করে জেলা বিএনপি।
তারেক রহমান বলেন, এ দেশের মানুষ দেখিয়ে দিয়েছে বুক পেতে গুলি খেতে রাজি, কিন্তু স্বৈরাচারকে মেনে নিতে রাজি না। আমরা গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে একটি নতুন প্রত্যাশা নিয়ে দেশকে স্বৈরাচার মুক্ত করতে পেরেছি। এখন আমাদের মূল লক্ষ্য- রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক মুক্তি। তিনি আরও বলেন, স্বৈরাচারের পতন হয়েছে বলে আমাদের বিপদ কেটে যায়নি। একটি সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরেপেক্ষ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে একটি গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক সরকারের ক্ষমতা অর্জন না করা পর্যন্ত এ বিপদ থেকেই যাবে।
কিশোরগঞ্জের ভূয়সী প্রশংসা করে তারেক রহমান বলেন, এ জনপদ বাংলাদেশের একটি সম্ভাবনাময় জনপদ। এখান থেকে যেমন রাষ্ট্রীয় সংগ্রহশালায় খাদ্যের ১৬ শতাংশ যোগ হয়, তেমনই রয়েছে সম্ভাবনাময় মৎস্যভা-ার। তিনি অষ্টগ্রামের বিখ্যাত পনিরের প্রশংসা করে বলেন, ওই পনির বিদেশে রপ্তানি করে যেমন বৈদেশিক মুদ্রা আয় করা সম্ভব, তেমনি কর্মসংস্থান সৃষ্টিও সম্ভব।
জনসভায় জুলাই থেকে ৫ আগস্ট এবং বিগত ১৬ বছরে পতিত পলাতক স্বৈরাচার শেখ হাসিনার অবৈধ শাসনামলে শহীদ ও আহত ৫৪ জনকে বিএনপির পক্ষ থেকে অর্ধকোটি টাকা সহায়তা দেওয়া হয়। এ সময় শহীদদের পরিবারের সদস্য ও আহতরা উপস্থিত থেকে স্থায়ী কমিটির সদস্য মো. নজরুল ইসলামের নিকট থেকে এ অনুদান গ্রহণ করেন।
কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি মো. শরিফুল আলমের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মো. নজরুল ইসলাম, চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা, সাবেক এমপি অ্যাডভোকেট মো. ফজলুর রহমান, যুগ্ম মহাসচিব এমরান সালেহ প্রিন্স, সাংগঠনিক সম্পাদক ওয়ারেছ আলী মামুন, কেন্দ্রীয় যুবদলের সাবেক সহসভাপতি রুহুল আমিন আকিল, জেলা বিএনপির সহসভাপতি সাবেক বিভাগীয় স্পেশাল জজ রেজাউল করিম খান চুন্নু, কেন্দ্রীয় মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইসতিয়াক আলী উলফাত, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম, জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি, সাবেক মেয়র অ্যাডভোকেট মো. জালাল উদ্দিন, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আমিনুল ইসলাম রতন, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান, জেলা বিএনপির সহসভাপতি অ্যাডভোকেট শরীফুল ইসলাম এবং শহীদ ও আহতদের পক্ষে, শহীদ তরিকুল ইসলাম রুবেলের বড় ভাই ইফতেখারুল ইসলাম জুয়েল, শহীদ ইমনের মা, শহীদ আব্দুল্লাহর বড় ভাই এবং ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হাত হারানো গুরুদয়াল সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী সুমাইয়া প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন জেলা বিএনপির সহসভাপতি অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম মোল্লা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খালেদ সাইফুল্লাহ সোহেল এবং সাংগঠনিক সম্পাদক হাজী ইসরাইল মিয়া।