বিভাগীয় বিতর্কে চ্যাম্পিয়ন শাবিপ্রবি ডিবেটিং সোসাইটি
শাবিপ্রবি প্রতিনিধি
২৪টি দলকে হারিয়ে সিলেটের বিভাগীয় বিতর্ক প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিবেটিং সোসাইটির দল চেতনা-৭১।
রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) রাতে সংগঠনটির পক্ষ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এ প্রতিযোগিতায় সিলেট বিভাগের সরকারি, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল কলেজ এবং বিভিন্ন কলেজের মোট ২৪ টি বিতর্ক দল অংশগ্রহণ করে। এতে শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিবেটিং সোসাইটির বিতর্ক দল চেতনা-৭১ এবং শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় স্কুল অব ডিবেটের বিতর্ক দল রেঁনেসা ফাইনালে মুখোমুখি হয়। ফাইনাল পর্বের বিতর্কের বিষয় ছিল ‘ এ সংসদ মনে করে যে ২৪’র জুলাই বিপ্লবের উদ্দেশ্য ব্যর্থ হবে।’ এতে সরকারি দল চেতনা-৭১-“ জুলাই বিপ্লবের উদ্দেশ্য মোটাদাগে ছিলো বৈষম্য বিহীন একটি সমাজ গঠন এবং সিস্টেমের সংস্কার। আমরা অন্তবর্তীকালীন সরকারের বিগত ২ মাসের কার্যক্রম দেখে অনুমান করবো বিপ্লবের উদ্দেশ্য ব্যর্থ হবে নাকি সফল হবে। বিপ্লবের উদ্দেশ্যের মধ্যে ছিলো ধর্মের মধ্যে বৈষম্য থাকবে না, কিন্তু আমরা উত্তরার মাঠে পূজা করা নিয়ে সমস্যা দেখতে পাই, মাজার কেন্দ্রীক সমস্যা দেখতে পাই এগুলো দেখে বুঝা যায় ধর্ম কেন্দ্রীক সমস্যা আগের মতোই । জুলাই বিপ্লবের আরেকটা উদ্দেশ্য ছিলো ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিলুপ্ত করা। কিন্তু আমরা এখনো দেখতে পাই ডিসি নিয়োগে দূর্নীতি, সমন্বয়কদের রাষ্ট্রীয় প্রোটেকলে জেলা ট্যুর, গণহারে মামলা, বিচার বর্হিভুত হত্যা। এই সবকিছু ছিলো জুলাই বিপ্লবের স্পিরিট বিরোধী, কিন্তু এগুলো এখনো চলমান, এগুলো দেখে বুঝা যায় জুলাই বিপ্লবের উদ্দেশ্য ব্যর্থ হবে।” ইত্যাদি যুক্তিখন্ডন করে বিপক্ষ দলকে পরাজিত করে।
দলটির বিতার্কিকরা হলেন মানতাকা পৌষি, দীপ্ত দেব এবং মুহতাসিম ফিরদৌস মাহিন। এ প্রতিযোগিতায় টুর্নামেন্টের ফাইনালের শ্রেষ্ঠ বিতার্কিক হিসেবে ‘ডিবেটার অব দ্য টুর্নামেন্ট’ ও ‘ডিবেটার অব দ্য ফাইনাল’ উভয় এর স্বীকৃতি অর্জন করেছেন মুহতাসিম ফেরদৌস মাহিন। টুর্নামেন্টের ২য় শ্রেষ্ঠ বিতার্কিক এর স্থান অর্জন করেছেন দীপ্ত দেব ও ৩য় শ্রেষ্ঠ বিতার্কিক এর স্থান অর্জন করেছেন মানতাকা পৌষি।
শাহজালাল ইউনিভার্সিটি ডিবেটিং সোসাইটির বিভিন্ন কার্যক্রম সম্পর্কে সভাপতি অন্তিক চৌধুরী বলেন, আমরা সবসময় ক্যাম্পাসে ও ক্যাম্পাসের বাহিরে বিভিন্ন বুদ্ধিবৃত্তিক কার্যক্রম আয়োজন করি। এমনকি আমরা বিভিন্ন আয়োজনে অংশগ্রহণ করে থাকি। তারই প্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয়কে প্রতিনিধিত্ব করতে আমরা বিভিন্ন আন্তজার্তিক, জাতীয় ও বিভাগীয় পর্যায়ের বিতর্ক প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহণ করি। জুলাই বিপ্লব পরবর্তী সময়ে প্রথমবারের মতো শাবিপ্রবিকে প্রতিনিধিত্ব করে একটি সম্মানজনক স্থানে পৌঁছে দিতে পেরে আমরা গর্বিত।”