শাবিতে মাহমুদুর রহমানের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন
শাবিপ্রবি প্রতিনিধি
বিপ্লবী কলমসৈনিক ও প্রথিতযশা সাংবাদিক ড. মাহমুদুর রহমানের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তিযুদ্ধ, বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ ও ধর্মীয় মূল্যবোধে শ্রদ্ধাশীল শিক্ষক ফোরাম।
বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) দুপুর ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে এ কর্মসূচি পালন করেন ফোরামটির শিক্ষকরা।
মানববন্ধনে ফোরামটির সাধারণ সম্পাদক রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সেলিমের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখে ফোরামটির সদস্যরা।
এ সময় ফোরামটির সদস্য সমাজবিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. মো. আল আমিন বলেন, “জুলাইয়ের ছাত্র-জনতার গণ অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে আমরা আজকের এই বাংলাদেশ পেয়েছি। বাংলাদেশের এই ভিশনে, এই বাস্তবতার পিছনে যারা দূরে থেকেও বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করে;তাদের মধ্যে অন্যতম আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান। আমরা যখন দেখেছি বাংলাদেশের সাংবাদিকতায় বিভিন্ন রকমের দলবাজি ও দালালিতে লিপ্ত হয়ে গেছে, তখনই মাহমুদুর রহমান সত্যভাবে দাঁড়িয়ে দেখিয়ে দিয়েছে।”
“মাহমুদুর রহমান পেশাগত সাংবাদিক না হয়েও সাংবাদিকতায় নতুন ধারা এনে বিশ্ববাসীকে দেখিয়ে দিয়েছে। এ সত্য কথা বলতে গিয়ে তিনি অনেক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। আমরা কুষ্টিয়ার সে চিত্র ভুলব না, মামলার হাজিরা দিতে গিয়ে তাকে রক্তাক্ত করেছে স্বৈরাচারের দোসররা। রক্তাক্ত অবস্থায় তিনি বলেছেন আমরা কোন বিদেশী শক্তির কাছে মাথানত করব না।”
তিনি বলেন, “এরকম একজন সাংবাদিক নতুন স্বাধীন দেশে এসে মুক্তভাবে ঘুরতে পারবে না; এটা খুবই দুঃখজনক। এরকম দেশে আসার পর তাকে কারাবরণ করতে হবে কেন? আবার তাকে জামিনে মুক্তি দিতে হবে কেন? তার বিরুদ্ধে সমস্ত মামলা মিথ্যা ও হয়রানিমূলক। তাকে যদি আবার টালবাহানা করে জামিন দেওয়া হয়, আবার ঢুকানো হয়। তাহলে আমরা মনে করব ,ফ্যাসিস্ট কাঠামো এখনো রয়ে গেছে।”
মানববন্ধনে ফোরামটির সভাপতি বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. আবদুর রহিম বলেন, “আমরা এমন একজনকে নিয়ে আজকে দাঁড়িয়েছে, যিনি আন্তর্জাতিকভাবে খ্যাতিসম্পন্ন, সত্যের কাজে নির্ভীক মানুষ। যিনি বস্তুনিষ্ঠভাবে সাংবাদিকতা করতে গিয়ে জুলুমের শিকার হয়েছেন। এ সাংবাদিককে যেভাবে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে, আমরা তার বিরদ্ধে তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। আমরা চাই যেসব ব্যক্তিদের কারণে তিনি জুলুমের শিকার হয়েছেন, সেসব ব্যক্তিদের খুঁজে তাদের উপযুক্ত শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।”
এসময় আরও বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড পলিমার সায়েন্স বিভাগের অধ্যাপক ড.সালমা আক্তার, অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. রফিকুল ইসলাম ও পরিসংখ্যান বিভাগের অধ্যাপক ড. আহমদ কবির।