ঘুষ বানিজ্যের অভিযোগ অমিতাভ শেখরের বিরুদ্ধে
শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধি
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল থানায় প্রায় ৪ বছর ধরে দায়িত্ব পালন করছেন ট্রাফিক ইন্সপেক্টর (টিআই) অমিতাভ শেখর চৌধুরী। কোন ক্ষমতা বলে তিনি একই থানায় রয়েছেন দীর্ঘদিন যাবৎ। এ নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে জনমনে। দীর্ঘদিন একই স্থানে থাকায় দায়িত্ব অবহেলার অভিযোগ উঠেছে টিআই এর বিরুদ্ধে। এছাড়াও ঘুষ ও মামলার ভয় দেখিয়ে বানিজ্যও করছেন ইচ্ছেমতো। তিনি নিয়মিত ডিউটি পালন না করে শহরের বাহিরে কোন না কোন সড়কে দাড়িঁয়ে বিভিন্ন যানবাহনের চালকদের মামলার ভয় দেখিয়ে চাঁদা আদায় করছেন।
তার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে বদলী হওয়া অফিস সহকারী (মুন্সী) ট্রাফিক কনস্টেবল মিরাজ হোসেনকেও নিজের সুবিধার জন্য আটকে রেখেছেন শ্রীমঙ্গলে। তিনি বদলী হওয়া অফিস সহকারী (মুন্সি) ট্রাফিক কনস্টেবল মিরাজ হোসেনকে দিয়ে চাঁদাবাজী করানোর জন্য। শুধু তাই নয় টিআই এর সরকারি গাড়ি ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করেন কনস্টেবল মিরাজ হোসেন।
টিআই অমিতাভ শেখর চৌধুরী যোগদান করার পর ৩জন টিআই শ্রীমঙ্গল থেকে বদলী হলেও অমিতাভ শেখর রয়েছেন বহাল। টিআই অমিতাভ শেখরের বাড়ী সুনামগঞ্জে। আর সুনামগঞ্জের বাসিন্দা সাবেক আইজি আব্দুল্লাহ আল মামুন এর প্রভাবেই নাকি এতোদিন রয়েছেন শ্রীমঙ্গলে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত ৬জুন কনস্টেবল মিরাজ হোসেনকে মৌলভীবাজার সদর কোর্টে বদলীর আদেশ হয়। এ আদেশ দেন মৌলভীবাজার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রসাশন ও অর্থ) সুদর্শন কুমার রায়। বদলী আদেশের ১০ দিনের মধ্যে বদলীকৃত ক্ষেত্রে যোগদান করার কথা থাকলেও কনস্টেবল মিরাজ হোসেন এখনো রয়েছেন শ্রীমঙ্গল থানায়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মোটরসাইকেল আরোহী অভিযোগ করে বলেন, আমার সাইকেলের কাগজাদি সাথে না থাকায় শহরতলীর ভানুগাছ রোড এলাকা থেকে ট্রাফিক পুলিশ আমার সাইকেলটি থানায় নিয়ে যায়। পরে তিনি টিআই এর সাথে দেখা করলে তিনি ট্রাফিকের মুন্সির সাথে দেখা করতে বলেন। পরে মুন্সীকে দুই হাজার টাকা দিয়ে থানা থেকে সাইকেল নিয়ে যাই। এমন আরও অনেকের অভিযোগ রয়েছে এই টিআই এর বিরুদ্ধে। অফদারেকর্ড অভিযোগ দিলেও অযথা জামেলায় জড়াতে চাননা বলে অনেকেই প্রকাশ্যে মুখ খোলতে না।
অমিতাভ শেখর চৌধুরীকে অপসারণ করে সড়কের শৃঙ্খলা বজায় রাখতে দায়িত্বশীল একজন ট্রাফিক ইন্সপেক্টর নিয়েগের দাবি শ্রীমঙ্গলবাসীর।
ট্রাফিক ইন্সপেক্টর টিআই (শহর ও যানবাহন) অমিতাভ শেখর চৌধুরী বলেন, আমার এখনো চার বছর হয়নি। মিরাজ বদলি হয়েছে, সে হয়তো ১/২মাসের জন্য দরখাস্ত করেছে, দরখাস্থের পরিপ্রেক্ষিতে রয়েছে। সে হয়তো চলে যাবে। আমি ডিউটি করবো না কেন? আমিতো ডিউটি করি। কনস্টেবল কি টিআই এর সরকারী গাড়ী ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করতে পারবে এমন প্রশ্ন করলে তিনি বলেন. আমি ব্যবহার করি সরকারী গাড়ী, মিরাজ কিভাবে ব্যবহার করবে সরকারী গাড়ী? মিরাজ সে তার পার্সোনার(ব্যক্তিগত) গাড়ী ব্যবহার করে, সেতো সরকারী গাড়ী ব্যবহার করতে পারে না। চাঁদাবাদির বিষয়ে তিনি অস্বিকার করেন।
এবিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রসাশন ও অর্থ) সুদর্শন কুমার রায় এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, মিটিংয়ে আছি, আপনি অভিযোগটা পাঠিয়ে দেন। অভিযোগ দেখে বিষয়ে ব্যবস্থা নিবো।