জগন্নাথপুরে অপহরণের ৪ দিন পর শিশুর ভাসমান মরদেহ উদ্ধার
জগন্নাথপুর প্রতিনিধি
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে নৌকাবাইচ দেখানোর কথা বলে সারজিদ আহমদ (৯) নামের এক শিশুকে অপহরণের চার দিন পর তার ভাসমান মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার রাতে উপজেলার ইনাতগঞ্জ (উমরপুর) এলাকার একটি মাছের ফিশারি থেকে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
জগন্নাথপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোখলেছুর রহমান আকন্দ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, শিশুটিকে অপহরণের ঘটনায় ইতিমধ্যে তিনজন কারাগারে রয়েছেন। আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে সাত দিনের রিমান্ডের আবেদনও করা হয়েছে। রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে ঘটনার মূল রহস্য উদ্ঘাটন করা হবে। শুক্রবার রাতে উমরপুর এলাকার একটি মাছের ফিশারিতে শিশুটির ভাসমান মরদেহ দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়। তারপর মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। আজ শনিবার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এ ঘটনায় গত বুধবার ওই শিশুর বাবা আল-আমিন বাদী হয়ে তিনজনের নামে জগন্নাথপুর থানায় অপহরণ মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর অভিযুক্ত তিনজনকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠায় পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন উপজেলার পাইলগাঁও ইউনিয়নের গোতগাঁও গ্রামের মৃত কছর মিয়ার ছেলে ছালিম উদ্দিন (৪৫), একই গ্রামের মৃত আব্দুর শহিদের ছেলে জনি (২৫) ও বাগময়না গ্রামের মৃত আব্দুল নওয়াফের ছেলে সোহাগ মিয়া (২৫)।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত সোমবার শিশু সারজিদ তার তিন বন্ধুসহ বাড়ির পাশে আলীগঞ্জ সেতুতে খেলাধুলা করতে যায়। ওই সময় অভিযুক্তরা ব্যাটারিচালিত ইজিবাইকে করে নৌকাবাইচ দেখানো কথা বলে সারজিদসহ চার শিশুকে নিয়ে যায়। পরে নৌকাবাইচ দেখা শেষে জনি ও সোহাগ আলীগঞ্জ সেতুতে তিন শিশুকে নিয়ে গাড়ি থেকে নেমে যায়। তবে সারজিদ ও ছালিম উদ্দিন আর ফিরে আসেনি।
পরদিন সারজিদের বাবা স্থানীয় আলীগঞ্জ বাজারে জনি ও সোহাগের কাছে তাঁর ছেলের বিষয় জানতে চাইলে তারা কোনো উত্তর দেননি। এ সময় স্থানীয়রা জনি ও সোহাগকে মারধরও করেন। পরে বুধবার জগন্নাথপুর থানায় মামলা দায়ের করা হলে পুলিশ অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে।