স্বামীকে বাঁচাতে গিয়ে দুর্বৃত্তদের অস্ত্রের কোপে স্ত্রী নিহত
দৈনিকসিলেট ডেস্ক :
লক্ষ্মীপুরে বাড়িতে ঢুকে হারুনুর রশিদ নামে ইটভাটার এক মাঝিকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে আহত করে দুর্বৃত্তরা। এ সময় স্বামীকে বাঁচাতে গেলে স্ত্রী জেসমিন আক্তারকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
বুধবার (১৬ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চন্দ্রগঞ্জ থানার ওসি কায়সার হামিদ। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হারুনের ছোট ভাই হিরনকে আটক করেছে পুলিশ।
এর আগে, মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) রাত আড়াইটার দিকে সদর উপজেলার কুশাখালী ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ঝাউডগি গ্রামের নুর মোহাম্মদ ডাক্তার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। আহত হারুন ওই বাড়ির মৃত আনিছ মোল্লার ছেলে। নিহত জেসমিন হারুনের স্ত্রী।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, হারুনের ৪-৫টি গরু রয়েছে। এরমধ্যে একটি গরু অসুস্থ। ঘটনার সময় বাইরে শব্দ হচ্ছিল। হারুন মনে করেছিল তার গরু আবার অসুস্থ হয়ে পড়েছে। এতে তিনি ঘরের বাইরে বের হন গরু দেখতে। এরমধ্যেই আগ থেকে ওৎ পেতে থাকা দুর্বৃত্তরা তাকে লক্ষ্য করে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপ দেয়। চিৎকার দিলে হারুনের স্ত্রী জেসমিন ঘর থেকে বের হয়ে ঘটনাটি দেখতে পান।
একপর্যায়ে স্বামীকে বাঁচাতে হামলাকারীদের কাছে অনুনয়-বিনয় করেন। স্বামীর প্রাণ ভিক্ষা চান। এরমধ্যে হারুন দৌড়ে পালিয়ে যান। ধারণা করা হচ্ছে- হামলাকারীদের মধ্যে কাউকে জেসমিন চিনে ফেলেছেন। এতে তাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। হামলাকারী ৭-৮ জন ছিল। হারুনকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এদিকে হারুনের সঙ্গে তার ছোট ভাই হিরনের জমি সংক্রান্ত বিরোধ রয়েছে। এরই জেরে ঘটনাটি ঘটতে পারে বলে স্থানীয়রা হিরনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।
হারুনের চাচাতো ভাই খুরশিদ আলম বলেন, ধারণা করা হচ্ছে ডাকাতি করতে বাড়িতে ঢুকে আমার চাচাতো ভাইকে কুপিয়ে আহত করা হয়েছে। এ সময় ভাবিকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। পরে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। তবে বাড়ি থেকে কোনো কিছু লুট হয়নি।
চন্দ্রগঞ্জ থানার ওসি কায়সার হামিদ বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। আহত হারুনের সঙ্গেও কথা হয়েছে। নিহত জেসমিনের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে। স্থানীয়রা ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে হারুনের ভাই হিরনকে আটক করে রাখে। পরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আমরা তাকে থানায় নিয়ে এসেছি।