সিলেটের আদালতে আইনকর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ পেলেন যাঁরা
দৈনিকসিলেট ডেস্ক :
সিলেটের বিভিন্ন আদালতে ১০৩জন সরকারি আইন কর্মকর্তা (জিপি), অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি, সহকারী সরকারি কৌঁসুলি, পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি), অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর, বিশেষ প্রসিকিউটর ও সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর নিয়োগ দিয়েছে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
বুধবার (১৬ অক্টোবর) রাতে আইন বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপ সলিসিটর (জিপি-পিপি) সানা মো. মাহরুফ হোসাইন স্বাক্ষরিত এক আদেশে সিলেট আদালতের জিপি, পিপি, এডিশনাল পিপি ও এপিপি পদে সরকারি শতাধিক আইনজীবী নিয়োগ দেয়া হয়।
সিলেট জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলী (জিপি) হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন অ্যাডভোকেট শামীম আহমদ সিদ্দিকী। এছাড়া জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পিপি হয়েছেন অ্যাডভোকেট এ টি এম ফয়েজ উদ্দিন।
মহানগর দায়রা জজ আদালতের পিপি নিয়োগ পেয়েছেন অ্যাডভোকেট বদরুল আহমদ চৌধুরী। বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতের পিপি হয়েছে অ্যাডভোকেট হাসান আহমদ পাটোয়ারী রিপন।
সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের পিপি নিয়োগ পেয়েছেন অ্যাডভোকেট শাহ আশরাফুল ইসলাম আশরাফ। মানবপাচার অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পিপি হয়েছেন অ্যাডভোকেট গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পিপি হয়েছেন অ্যাডভোকেট এম মজিবুর রহমান মজিব। দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনালের পিপি হয়েছেন অ্যাডভোকেট আবুল হোসেন। সাইবার ট্রাইব্যুনালের পিপির দায়িত্ব পেয়েছেন অ্যাডভোকেট মো. এজাজ উদ্দিন। জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালের পিপি হয়েছেন অ্যাডভোকেট মো. মুহিবুর রহমান।
অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলী (জেলা ও দায়রা জজ আদালত):
সিলেট জেলা ও দায়রা জজ আদালতে অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলী হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন অ্যাডভোকেট মো. তানভির আক্তার খান, অ্যাডভোকেট মো. জাফর ইকবাল তারেক, অ্যাডভোকেট মো. আবদুর রহমান, অ্যাডভোকেট মো. রেজওয়ান আহমদ চৌধুরী, অ্যাডভোকেট মো. তাজ রিহান জামান, অ্যাডভোকেট মো. আবুল ফজল, অ্যাডভোকেট মো. রব নেওয়াজ রানা ও অ্যাডভোকেট মো. নাজমুল হুদা।
সহকারী সরকারি কৌঁসুলী (জেলা ও দায়রা জজ আদালত):
জেলা ও দায়রা জজ আদালতে সহকারী পিপি হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন অ্যাডভোকেট সৈয়দ খালেদ হোসেন মাহতাব, অ্যাডভোকেট মো. সালাম উদ্দিন, অ্যাডভোকেট মো. শাহরিয়ার উজ্জামান, অ্যাডভোকেট মো. শামীম আহমদ, অ্যাডভোকেট মাহবুবুর রহমান, অ্যাডভোকেট মো. মহিদুল হক, অ্যাডভোকেট জামিনুল ইসলাম জামি, অ্যাডভোকেট মো: ফখরুজ্জামান, অ্যাডভোকেট রুহিনা বেগম, অ্যাডভোকেট হাবিব আহমদ, অ্যাডভোকেট মো. মোজাক্কির হোসেন, অ্যাডভোকেট মলয় কান্তি পাল ও অ্যাডভোকেট মো. নাজমুল হুদা।
অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (জেলা ও দায়রা জজ আদালত):
জেলা ও দায়রা জজ আদালতে অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন অ্যাডভোকেট দেওয়ান মিনহাজ গাজী, অ্যাডভোকেট মো. শাহরিয়া উজ জামান পলাশ, অ্যাডভোকেট আশিক উদ্দিন, অ্যাডভোকেট মো: কামাল হোসেন, অ্যাডভোকেট আনোয়ার হোসেন, অ্যাডভোকেট মো. আবু তাহের, অ্যাডভোকেট মো. খালেদ আহমদ জোবায়ের, অ্যাডভোকেট আল আসলাম মুমিন, অ্যাডভোকেট মো. মামুন আহমদ (রিপন), অ্যাডভোকেট ইকবাল আহমদ, অ্যাডভোকেট মো. এখলাছুর রহমান, অ্যাডভোকেট মো. জালাল উদ্দিন, অ্যাডভোকেট মো. আনছারুজ্জামান, অ্যাডভোকেট মো. মুজিবুর রহমান মুজিব, অ্যাডভোকেট মো. ছমির উদ্দিন, অ্যাডভোকেট মো. শফিউল আলম, অ্যাডভোকেট মোস্তাক আহমদ ও অ্যাডভোকেট মো. আলীম উদ্দিন।
সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (জেলা ও দায়রা জজ আদালত):
জেলা ও দায়রা জজ আদালতে সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন অ্যাডভোকেট মো. ফখরুল হক, অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট মো. শফিকুল ইসলাম সবুজ, অ্যাডভোকেট মো: আবদুল মুকিত, অ্যাডভোকেট মো: সুহেল মিয়া, অ্যাডভোকেট মো: লিয়াকত আলী, অ্যাডভোকেট মো. ইকবাল হোসেন, অ্যাডভোকেট মো. খালেদ হোসেন, অ্যাডভোকেট মো. ইসরাফিল আলী, অ্যাডভোকেট মোবারক হোসেন, অ্যাডভোকেট মো. শাহজাহান সিদ্দিকী, অ্যাডভোকেট গোলাম রসুল সুমেল, অ্যাডভোকেট মো. বদরুল আলম সিপন, অ্যাডভোকেট মো. বোরহান উদ্দিন খন্দকার, অ্যাডভোকেট মো. মির্জা হোসেন, অ্যাডভোকেট মো. নাজমুল হোসেন, অ্যাডভোকেট নাদিরা আক্তার চৌধুরী, অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট মো. তারেক আহমদ, অ্যাডভোকেট মো. রবিউল ইসলাম, অ্যাডভোকেট মো. জুনেদ আহমদ, অ্যাডভোকেট মো. মোজাম্মিল আলী, অ্যাডভোকেট মো. রহমত আলী, অ্যাডভোকেট ইয়াছিন খান, অ্যাডভোকেট মো. নাজমুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট সালেহ আহমদ, অ্যাডভোকেট আমিনুল ইসলাম চৌধুরী, অ্যাডভোকেট কাজী আতিকুল হক, অ্যাডভোকেট সাদেক আহমদ, অ্যাডভোকেট মো. ময়নুল ইসলাম, মো. আবদুল গফ্ফার, অ্যাডভোকেট মো. আফজল মিয়া তালূকদার, অ্যাডভোকেট খায়রুল আলম, অ্যাডভোকেট মো. মোস্তাফিজুর রহমান ও অ্যাডভোকেট মো. আবদুল আহাদ সিদ্দিকী।
অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (মহানগর দায়রা জজ আদালত):
মহানগর দায়রা জজ আদালতে অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন অ্যাডভোকেট জোহরা জেসমিন, অ্যাডভোকেট মো. মুমিনুল ইসলাম মুমিন, অ্যাডভোকেট আহমদ ওবায়দুর রহমান ফাহমী, অ্যাডভোকেট আবদুল মুকিত অপি, অ্যাডভোকেট এফ এইচ এম সাজেদুল ইসলাম সজিব, অ্যাডভোকেট আবু ফাহাদ ও অ্যাডভোকেট মো. সাঈদ আহমদ।
সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (মহানগর দায়রা জজ আদালত):
মহানগর দায়রা জজ আদালতে সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন অ্যাডভোকেট মিজানুর রহমান চৌধুরী।
সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত):
চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট মো. আলী হায়দার ফারুক, অ্যাডভোকেট মো. ওয়াহিদুর রহমান, অ্যাডভোকেট আবদুর রাজ্জাক খান রাজ, অ্যাডভোকেট সৈয়দ ইয়াসির আরাফাত, অ্যাডভোকেট মো. খুরশেদ আলম, অ্যাডভোকেট মোছা: সেবা বেগম, অ্যাডভোকেট মনজুর এলাহী সামী, অ্যাডভোকেট মো. আবদুল হালিম রায়হান, অ্যাডভোকেট সুদীপ বৈদ্য ও অ্যাডভোকেট সৈয়দা তাহমিনা রহমান।
আওয়ামী সরকারের পতনের প্রায় আড়াই মাস সিলেটের বিভিন্ন আদালতে শতাধিক আইন কর্মকর্তার পদ শূন্য ছিল। ফলে এই সময়ে ভোগান্তিতে পড়েন বিচারপ্রার্থীরা। এতে সিলেট জেলা ও মহানগরের আদালতসমুহে লাখের মতো চলমান মামলা নিষ্পত্তিতে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হয় এবং বিলম্বিত হচ্ছিল বিচার কার্যক্রম। এ নিয়ে গত ২৬ সেপ্টেম্বর দৈনিক নয়া দিগন্তে ‘সিলেটের আদালতে শতাধিক আইন কর্মকর্তার পদ শূন্য-কমছে না মামলার জট’ শিরোনামে একটি প্রকাশিত হয়েছে।
এদিকে শতাধিক আইন কর্মকর্তার নিয়োগের মাধ্যমে সিলেটের আদালতে মামলা নিষ্পত্তিতে গতির সঞ্চার হবে বলে মনে করছেন আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থীরা।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, সিলেটের সিলেট জেলা ও দায়রা জজের অধীন ২২টি আদালতে সাড়ে ২৮ হাজার মামলা রয়েছে। এছাড়া জেলা ও মহানগরের ৬০টি আদালতে বিচারাধীন মামলার সংখ্যা দাঁড়ায় লাখের মতো।