দোয়ারাবাজারে জরায়ুমুখে ক্যান্সার রোধে টিকা প্রদানে মতবিনিময় সভা
দোয়ারাবাজার প্রতিনিধি
জরায়ুমুখে ক্যান্সার রোধে সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার ১৫ হাজার ১৩৫জন কিশোরীকে দেওয়া হবে এক ডোজ করে এইচপিভি টিকা। এইচপিভি টিকাদান ক্যাম্পেইনে উপজেলার সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত পঞ্চম থেকে নবম শ্রেণির ছাত্রী এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বহির্ভূত ১০থেকে ১৪বছর বয়সী কিশোরীদের টিকা দেওয়া হবে।
সোমবার (২১ অক্টোবর) দুপুর ২টায় দোয়ারাবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের হলরুমে হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস টিকাদান ক্যাম্পেইন উপলক্ষে উপজেলা প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের স্কুল-মাদ্রাসার শিক্ষকদের সাথে সচেতনামূলক মতবিনিময় সভায় এসব তথ্য উপস্থাপন করা হয়। ইউনিসেফ, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এর সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত সভায়
সভাপতিত্ব করেন দোয়ারাবাজার উপজেলা নির্বাহী অফিসার নেহের নিগার তনু। বক্তব্য রাখেন, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা পঞ্চানন কুমার সানা, দোয়ারাবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবু সালেহীন খাঁন।
এসময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নেহের নিগার তনু বলেন, সারাদেশে জরায়ুমুখ ক্যানসার প্রতিরোধী এইচপিভি টিকাদান কার্যক্রম একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। বাংলাদেশে নারীদের ক্যান্সারজনিত মৃত্যুর মধ্যে জরায়ুমুখ ক্যানসার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। এইচপিভি টিকা জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধ করে। এ টিকা বিশ্বব্যাপী পরীক্ষিত, নিরাপদ ও কার্যকর। সরকার এই টিকা বিনামূল্যে দিচ্ছে।
দোয়ারাবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.আবু সালেহীন খাঁন বলেন, ‘আজকের কিশোরী আগামী দিনের মা। তাদের সুস্বাস্থ্যের ওপর নির্ভর করবে জাতীর ভবিষ্যৎ প্রজন্মের স্বাস্থ্য সুরক্ষা। নারীদের জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধের ওপর গুরুত্ব আরোপ করে বাংলাদেশ সরকার সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচিতে এইচপিভি টিকা সংযোজন করেছে। আগামী ২৪ অক্টোবর থেকে এ কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। চলবে ২৩ নভেম্বর পর্যন্ত। এক ডোজ এইচপিভি টিকা নিয়ে জরায়ুমুখ ক্যান্সার রুখে দিতে হবে। এ টিকা পেতে নিবন্ধন করতে হবে। এইচপিভি টিকাদান ক্যাম্পেইন দোয়ারাবাজার উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত পঞ্চম থেকে নবম শ্রেণি ছাত্রী ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বহির্ভূত ১০-১৪ বছর বয়সী কিশোরীসহ মোট ১৫ হাজার ১৩৫ জন কিশোরীদের জন্য পরিচালিত হবে। তাদেরকে বিনামূল্যে এইচপিভি টিকা দেয়া হবে। তিনি আরো বলেন, ক্যান্সার প্রতিরোধে শিক্ষক, অভিভাবক ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ও সংশ্লিষ্ট সকলকে একযোগে কাজ করতে হবে। এ কার্যক্রমকে বাস্তবায়িত করতে সকলকে আন্তরিকভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে।