সড়ক মেরামত কাজে ধীরগতি, চরম দুর্ভোগ
তাহিরপুর প্রতিনিধি
সুনামগঞ্জ জেলার গুরুত্বপূর্ণ সুনামগঞ্জ-বিশ্বম্ভরপুর-তাহিরপুর সড়ক। এই সড়কের বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা সদর থেকে বালিজুরী ইউনিয়ন পর্যন্ত ৮ কিলোমিটার সড়ক মেরামত ও এর মধ্যে দুটি সেতুসহ ১৭ কোটি টাকা ব্যয়ে কাজ চলছে। কিন্তু ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের গাফিলতির কারনে চরম দূর্ভোগের শিকার হচ্ছে চলাচলকারী হাজার হাজার যানবাহন, পর্যটকসহ স্থানীয় বহু মানুষ। এছাড়াও সড়ক নির্মানে নিম্ন মানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয় এলাকাবাসী।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা পর্যটকদের এই সড়ক দিয়ে যানবাহনসহ বহু মানুষের এই সড়ক দিয়েই জেলার মধ্যনগর, ধর্মপাশা ও তাহিরপুর উপজেলার লাখ লাখ মানুষসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরাও চলাচল করে। আর জেলা শহরে যাবার এক মাত্র সড়ক, অথচ সড়কের এক পাশ ঢালাইয়ের কাজ করেই অপর পাশ বন্ধ রাখা, সড়ক জুড়ে ইট শুরকিসহ নির্মাণ সামগ্রীর উপকরন ফেলে রেখে সমান না করায় প্রায়ই সময় বাগমারা, ভাটিপাড়া, কৈয়ারকান্দা ও শক্তিয়ারখলা সড়কে দুর্ঘটনাও ঘটছে। একেই সাথে ধোলায় সয়লাব থাে দিনভর। আর দীর্ঘ যানযটে পরে ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করতে হচ্ছে যানবাহনসহ হাজার হাজার মানুষজনকে।
শক্তিয়ারখলা বাজারের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বাজারটিতে ছোট বড় দুই শতাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। সড়কের এক পাশের অর্ধেক অংশের কাজ করেই বাকী অংশের কাজ বন্ধ করে রাখায় যানবাহন চলাচল করার সময় দোকানে ময়লা কাদাপানি ছিটকে পড়ছে। এছাড়াও সড়কের বিভিন্ন স্থানে ইট, শুরকি ফেলে রাখায় পর্যটকদের গাড়ী, বিভিন্ন যানবাহনসহ বহু মানুষ যানজটে চরম দূর্ভোগের শিকার হচ্ছেন।
পর্যটক বহনকারী গাড়ির চালক মাসুক মিয়া, হেলাল উদ্দিন বলেন, এই সড়ক দিয়ে তাহিরপুর উপজেলার টাংগুয়ার হাওরসহ বিভিন্ন পর্যটন স্পটে যাওয়ার একমাত্র সড়কে কাজ কোনো সময় চালু থাকে আবার বন্ধ করে রাখায় যাত্রীদের কষ্ট গাড়ির অবস্থাও শেষ। সড়ক দিয়ে চলাচলকারী অটোরিকশা চালক হামিদ মিয়া ক্ষোভের সাথে জানান, ঠিকাদার কাজ করতেছে একবারেই কম লোকজন দিয়ে। যার জন্য মেঘ বৃষ্টির দিনে কষ্ট করেছি এখনও করছি।
শক্তিয়ারখলা বাজার কমিটির সভাপতি আব্দুল বাছিত জানান, দ্রুত সড়কের সংস্কার না করায় প্রতিদিনই দুর্ঘটনা ঘটছে আর দীর্ঘ যানজট নাজেহাল অবস্থায় পড়ে যানবাহন ও যাত্রীরা। বর্ষার সময় বেশি দূর্ভোগের শিকার হয়েছে বাজারের ব্যবসায়ীরা।
দক্ষিণ বাদাঘাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছবাব মিয়া জানান, শক্তিয়ারখলার শেষ অংশ থেকে উপজেলার সদরের নতুন পাড়া হয়ে জেলা শহরে ও তাহিরপুরে যাবার একমাত্র সড়কে মেরামত কাজে ব্যবহৃত বালু,সিমেন্ট,ইট সুরকি ব্যবহার করা হয়েছে তা খুবেই নিন্মমানের সে কারনে প্রতিবাদ করেছি এবং উপজেলার মিটিংয়ে বলেছি। আর সড়কে ইট সুরকি ফেলে সড়কে পানি না দেয়ায় ধোলায় জনজীবন বিপর্যস্ত। কাজে ধীরগতির কারনে দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে সর্বস্তরের মানুষ।
বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা প্রকৌশলী একরামুল হোসেন বলেন, বিশ্বম্ভরপুর সদর থেকে আনোয়ারপুর ভায়া শক্তিয়ারখলা বাজারের মধ্যে বাঘমরা এলাকায় দুটি সেতুসহ ১৭ কোটি টাকা ব্যয়ে সদরের নতুন পাড়াসহ কিছু কিছু এলাকায় কাজ হয়েছে। বাকী সড়কেও কাজ চলমান রয়েছে। খুব দ্রুতই সঠিক ভাবে দ্রুত কাজ শেষ করার জন্য ঠিকাদারকে বলবো।