সিলেটে ৯ দফা দাবিতে বৈষম্যবিরোধী হকার্স ঐক্য পরিষদের স্মারকলিপি
দৈনিকসিলেট ডেস্ক :
সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক বরাবর ৯ দফা দাবিতে স্মারকলিপি দিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী হকার্স ঐক্য পরিষদ নেতৃবৃন্দ। এছাড়া এর অনুলিপি দেয়া হয়েছে
রোববার দুপুরে সিলেট জেলা প্রশাসন কার্যালয়ে জেলা প্রশাসক শের মাহবুব মুরাদের হাতে স্মারকলিপি তুলে দেন তারা।
এছাড়া সিলেট মহানগর পুলিশ কমিশনারের কাছেও এর অনুলিপি পৌঁছে দেয়া হয়েছে।
স্মারকলিপিতে নেতৃবৃন্দ উল্লেখ করেন, ২০২০ সালে সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী নগরীর লালদিঘিরপারে তাদের পুনর্বাসনের উদ্যোগ গ্রহন করেছিলেন।তিনি নানা সুযোগ সুবিধা দেয়ার আশ্বাস দিলেও তা বাস্তবায় না হওয়ায় সেই প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়।
এরপর সদ্য অপসারিত মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীও লোভনীয় প্রতিশ্রুতি দিয়ে হকারদের সেখানে নিয়ে যান। কিন্তু একটু মাটি ভরাট ও একটি বাথরুম তৈরি ছাড়া তিনিও আর কোনো উন্নয়ন করেন নি। অথচ মাটি ভরাট ও দোকান কোঠা নির্মাণের নামে হকারদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা আদায় করেছেন।
এ অবস্থায় হকাররা পুঁজি হারিয়ে এখন খেয়ে না খেয়ে কোনোমতে দিনযাপন করেছেন। অনেকে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেম, কেউকেউ আবার অসুস্থ অবস্থায় বর্তমানে মৃত্যুপথ যাত্রী।
এ অবস্থা থেকে সিলেটর হকার ও তাদের পরিবারের সদস্যদের বেঁচে থাকতে সহযোগীতার জন্য তারা স্মারকলিপিতে ৯ দফা দাবির কথা উল্লেখ করেছেন।
দাবিগুলো হলো, হকারদের স্থায়ী পূনর্বাসন, লালাদিঘির পার অস্থায়ী হকার মার্কেটের প্রস্তাবিত সকল রাস্তা তৈরি ও মাঠের অসম্পূর্ন কাজ সম্পাদন, পুনর্বাসনকৃত মাঠে স্থায়ী দোকান তৈরি ও পৃথজ পৃথক নিজস্ব মিটারে বিদ্যুতের ব্যবস্থা করা, প্রতিদিন বিকেল ৫টা থেকে ফুটপাতে ব্যবসার সুযোগ দেয়া, সপ্তাহের শুক্র ও শনিবার ছুটির সারাদিন ফুটপাতে ব্যবসার সুযোগ দেয়া, এ ক্ষেত্রে সিলেট সিটি কর্পোরেশন থেকে দৈনিক সপ্তাহিক, মাসিক বা বার্ষিক ফি নির্ধারণ ও আদায় করা যাতে সিসিক’র রাজস্ব আয় বৃদ্ধি পায়। হকারদের নির্যাতন হয়রানি বন্ধ করা, অতীতে দোকান বরাদ্দে ব্যাপক অনিয়ম দুর্নীতি হয়েছে। তাই লটারির মাধ্যমে দোকান বরাদ্দ দেয়া, চাঁদাবাজী বন্ধ করা ও দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত ফুটপাতে ব্যবসার মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহে সহযোগীতা করা।
এর আগেন গরীর সুরমা পয়েন্টে তারা অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন।
এসময় বক্তারা তাদের ৯ দফা দাবি বাস্তবায়নের মাধ্যমে হকারদের কর্সংস্থান এবং পরিবার পরিজন নিয়ে বেঁচে থাকার সুযোগ দেয়ার আহ্বান জানান।
তারা একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করার চেষ্টা করলে পুলিশ বাঁধা দেয় বলেও অভিযোগ করেছে বৈষম্য বিরোধী হকার নেতৃবৃন্দ।
নেতৃবৃন্দ বলেন, লালাদিঘির পার অস্থায়ী হকার মার্কেটে একটি বিশাল সিন্ডিকেট রয়েছে। এই সিন্ডিকেট বার বার তৈরি হয়ে এরাই নিরীহ হকাদের জিম্মি করে রাখেন। স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে রকিব আলীর একটি সিন্ডিকেট ছিলো। ৫ আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের পর সেই সিন্ডিকেট ভেঙ্গে দেওয়া হয়। পরে রকিব আলী পলিয়ে যায়। এরপর নতুন করে আরেকটি সিন্ডিকেট হয়েছে। এই সিন্ডিকেট এর নেতারা এবার হকারদের জিম্মি করে তাদের মতো করে দোকান কোঠা বন্টন করছে। এমকি বহিরাগতদের মাঠে দোকান বরাদ্দ দিচ্ছে। এছাড়া মাছ-তরকারি বাজার পিছনে যাওয়ার কথা থাকলেও তা করা হয়নি।