লাউ চাষ করে স্বাবলম্বী শ্রীমঙ্গলের আবু তাহের
শাকির আহম্মদ, শ্রীমঙ্গল
মৌলভীবাজার শ্রীমঙ্গলের ভুনবীর ইউনিয়নের আঐ গ্রামে লাউ চাষ করে সাফল্য অর্জন করেছেন কৃষক আবু তাহের। তিনি চল্লিশ বছর ধরে শীতকালীন বিভিন্ন জাতের সবজি আবাদ করে আসছেন।
এবছর কৃষক আবু তাহের তার পনেরো শতাংশ জমিতে ২৫ হাজার টাকা খরচ করে লাউ চাষ করেন। সেই জমিতে ফলন ভালো হওয়ায় পাইকারি বাজারে প্রতি পিস লাউ ৫০/৬০ টাকা ধরে তিনি এখন পর্যন্ত এক লক্ষ টাকার উপরে লাউ বিক্রি করেছেন। বর্তমানে বাজারে দাম কিছুটা কমে আসলেও যে পরিমান লাউ আছে তা থেকে আরো বিশ থেকে পঁচিশ হাজার টাকার লাউ বিক্রির আশা করছেন তিনি। তবে কৃষক আবু তাহেরের লাউ চাষ দেখে এলাকায় লাউ চাষ করা আগ্ৰহ প্রকাশ করেছেন অনেকেই ।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কৃষক আবু তাহেরের সবজি বাগানের মাচায় ঝুলছে লম্বা সবুজ রঙের হাজারী জাতের অসংখ্য লাউ। যেদিকে তাকানো যায় শুধু লাউ আর লাউ। বাগানের এসব ঝুলন্ত সবুজ কচি লাউ দেখলে যে কোনো মানুষের চোখ জুড়িয়ে যায়।
কৃষক আবু তাহের মিয়া বলেন, আমি শীতকালিন বিভিন্ন জাতের সবজি আজ ৪০ বছর ধরে চাষ করে আসছি। উপজেলা কৃষি অফিস থেকে কোনো পরামর্শ বা সরকারি প্রণোদনা পাইনি। যদি সরকারি ভাবে প্রণোদনা পাই, আগামীতে আরো বড় পরিষরে লাউসহ শীতকালীন সবজি চাষ করবো।
উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা রিপন সরকার বলেন, আমি সরেজমিনে কৃষক আবু তাহের এর সাথে গত সপ্তাহে যোগাযোগ করে লাউ চাষের পাশাপাশি বিভিন্ন সবজি জাতের সবজি চাষের পরামর্শ দিয়েছি। তবে উনার পানির সমস্যা। অন্যান্য জাতের সবজি চাষ করতে পানির প্রয়োজন হবে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. মহিউদ্দিন বলেন, কৃষকরা আমাদের কাছে সহযোগিতা চাইলে আমরা অবশ্যই সহযোগিতা করি। কৃষক আবু তাহের অফিসে আসে। আমি কৃষক আবু তাহেরকে বিভিন্ন জাতের সবজি আবাদের পরামর্শ দিয়েছে এবং তাকে বিভিন্ন জাতের সবজি বীজসহ সরকারি প্রণোদনা দিবো বলেছি।
তিনি আরও বলেন, এখন সারাবছরই সবজির চাষ হয়। কৃষকরা জৈব পদ্ধতিতে বিষমুক্ত লাউ চাষ করছেন। বাজারে লাউয়ের চাহিদা থাকায় ও নায্যদামে বিক্রি করতে পেরে লাভবান হয়েছেন। কৃষি অফিস থেকে কৃষকদের সব ধরনের সহায়তা দেয়া হচ্ছে।’